সুপ্রভাত ডেস্ক »
একজন নবীন চারপাশ থেকে শেখে। এরপর নিজে নিজের অস্তিত্ব জানান দেয়। তেমনি একজন তরুণ কণ্ঠশিল্পী কানিজ খন্দকার মিতু। টাংগাইল থেকে উঠে এসে যে এখন নিজের জাত চেনালেন কোক স্টুডিও বাংলার মঞ্চে। মিতুর স্বপ্ন পূরণের প্রথম ধাপটি শুরু হয় সংগীত বিষয়ক রিয়েলিটি শো ‘মেঘে ঢাকা তারা’য় অংশ নিয়ে। ২০১১ সালে আয়োজিত এটিএন বাংলায় প্রচারিত এই আয়োজনে প্রথম স্থান অর্জন করেছিলেন তিনি।
এবার বিশ্ব সংগীত দিবসে (২১ জুন) ‘কোক স্টুডিও বাংলা’য় গাইলেন লালনের ‘সব লোকে কয়’ গানটি। গানটি সংগীতায়োজন করেছেন শায়ান চৌধুরী অর্ণব। গানটি ইউটিউবে প্রকাশের পর দারুণ প্রশংসা পাচ্ছেন মিতু ও সংশ্লিষ্টরা।
মিতু বলেন, ‘এত বড় প্ল্যাটফর্মে লালন সাঁইজির গান করতে পেরেছি, এটি আমার কাছে অনেক বড় পাওয়া। এ জন্য প্রথমেই কৃতজ্ঞতা জানাই অর্ণবদার প্রতি। তিনি না থাকলে এই সুযোগটি পাওয়া হতো না। পাশাপাশি বিশেষভাবে কৃতজ্ঞতা জানাই আমার ওস্তাদ গোলাম রাব্বানী রতনের প্রতি। তিনি আমার পাশে ছায়ার মতো না থাকলে হয়তো এতদূর আসা সম্ভব হতো না।’ কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সংগীত বিভাগ থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন মিতু। একই বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন তিনি লোক বিভাগে মাস্টার্সে অধ্যয়নরত।
গানের আকাশে মিতুর নব যে পথচলা শুরু হলো, এই যাত্রায় কণ্ঠ, সুর, তাল আর লয়কে মুঠোবন্দি কর মেঘের ভেলায় পাড়ি দিয়ে চলতে চান অসীম দূরত্বে। তিনি বলেন, ‘ছোট থেকেই গান নিয়ে থাকলেও কোক স্টুডিওর এই গানের মাধ্যমে আমার পুনর্জন্ম হলো। এই ধারা অব্যাহত রাখতে চাই। পাশাপাশি গান দিয়ে মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নিতে চাই। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন, আমি যেন আপনাদের ভালো কিছু গান উপহার দিতে পারি।’
এদিকে মিতুর গাওয়া ‘সব লোকে কয়’ গানের সঙ্গে ভারতীয় ফোকের মিশ্রণে ফিউশন তৈরি করা হয়েছে। এই অংশের শিরোনাম ‘কবিরা কুয়া এক হ্যায়’। এতে কণ্ঠ দিয়েছেন ভারতের গায়ক মুর্শিদাবাদী। এটি পনেরো শতকের ভারতীয় রহস্যবাদী কবি এবং সাধক কবীর দাশের লেখা।