নিজস্ব প্রতিবেদক :
নগরীর কাঁচাবাজারে গতকাল থেকে হঠাৎ করে আলুর দাম কেজিপ্রতি ৫-১০ টাকা বেড়ে গেছে। এখন ৪৫-৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। নগরীর চৌমুহনী কর্ণফুলী মার্কেট ও আগ্রাবাদ কাঁচাবাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।
আলুর দুই দফা মূল্য নির্ধারণ করে দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। খুচরায় প্রথমে ৩০ টাকা নির্ধারণ করলেও পরে ব্যবসায়ীদের আপত্তির মুখে ৫ টাকা বাড়িয়ে ৩৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু খুচরা বাজারে মন্ত্রণালয়ের বেঁধে দেওয়া সে দামের প্রতিফলন দেখা যায়নি।
নগরীর বিভিন্ন অলি-গলিতে ভ্যানগাড়িতেও ৪৫ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি হচ্ছে। অনেক মুদি দোকানে ৫০ টাকা কেজি দরেও আলু বিক্রি করা হচ্ছে।
চট্টগ্রাম জেলা কৃষি বাজার কর্মকর্তা সেলিম মিয়া গতকাল সুপ্রভাতকে বলেন, বিক্রেতারা সরকার বেঁধে দেওয়া দামে আলু বিক্রি করছেন না। কোনো বাজারে ৪৫ টাকা, আবার কোথাও ৫০ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি হচ্ছে। আমরা ভোক্তা অধিকার ও জেলা প্রশাসনকে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সুপারিশ করেছি।
বাড়তি দামে আলু বিক্রির কারণ হিসেবে বিক্রেতারা বলছেন, চট্টগ্রামে কোথাও আলু উৎপাদন হয় না। মুন্সীগঞ্জ থেকে এখানে আলু আসে। পাইকারি বাজারে আলুর দাম অনেক বেশি। প্রতি বস্তায় ৫ কেজি আলু নষ্ট হয়, পরিবহন ভাড়া ও শ্রমিক খরচ রয়েছে। পাইকারি ব্যবসায়ীরা দাম না কমালে আমরা কম মূল্যে আলু বিক্রি করতে পারবো না।
কর্ণফুলী মার্কেটের আলুবিক্রেতা আনোয়ার হোসেন বলেন, আমরা পাইকারি বাজার থেকে ৩৫ টাকা দামে আলু কিনে আনি। প্রতি বস্তায় আলু নষ্ট হয়। এছাড়া পরিবহন ভাড়া ও শ্রমিক খরচ বাবদ আমাদেরকে ৪৫-৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে হচ্ছে।
জেলা প্রশাসন ও ভোক্তা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, তারা আলুর বাজারের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। কয়েক দিনের মধ্যে তারা আলুর বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করবে বলে জানা গেছে।
এ মুহূর্তের সংবাদ