কৃষকরা পাবেন সুলভ মূল্যে সেচ সুবিধা

চকরিয়া সোনাইছড়ি খালে তৈরি হচ্ছে মাটির বাঁধ

চকরিয়া সোনাইছড়ি খালে তৈরি হচ্ছে মাটির বাঁধ

এম জিয়াবুল হক, চকরিয়া  »

কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার বরইতলী ইউনিয়নের সোনাইছড়ি খালে এবার কৃষকেরা তৈরি করছে মাটির বাঁধ। সেচ সুবিধা নিশ্চিতের জন্য এবছর স্থানীয় কৃষকেরা নিজ থেকে এই উদোগ নিয়েছেন। এ অবস্থার ফলে ওই এলাকার অন্তত পাঁচশত একর অনাবাদি জমি চাষের আওতায় আসবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় ব্লকের দায়িত্বপ্রাপ্ত  উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা। মাটির বাঁধের সুফল সেচ সুবিধা নিয়ে উপকৃত হবে হাজারো কৃষক। অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবেন তারা।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার বরইতলী ইউনিয়নের সোনাইছড়ি খালে চার নম্বর ওয়ার্ড উপরপাড়া এলাকায় সেচের সুবিধার্থে সরকারীভাবে একটি স্লুইসগেট  নির্মাণ করা হলে ভাঙ্গনের কবলে পড়ে সেটি এখন অকেজো অবস্থায় পড়ে আছে। ফলে খালের গতিপথ পরিবর্তন হয়ে পড়ে।

প্রতিবছর এই খালে বাঁধ দিয়ে কৃষকদের সেচ সুবিধা দিয়ে বড় অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেয় স্থানীয় একটি চক্র। এ অবস্থায় এবছর স্থানীয় কৃষক ও জমির মালিকরা মিলে বাঁধ দিয়ে কৃষকদের সুলভমূল্যে সেচ সুবিধা দিতে উদ্যোগ গ্রহণ  করে। এ নিয়ে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি অনুমতির আবেদন পত্র দাখিল করা হয়েছে।

মাটির বাঁধ বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি ও স্থানীয় জমির মালিক আবদুল লতিফ ও সাধারণ সম্পাদক মাস্টার সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, সোনাইছড়ি খালের ২ নম্বর বাঁধটি দীর্ঘদিন স্থানীয় কৃষকদের তত্ত্বাবধানে ছিল। গত সরকারের আমলে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে সেচ প্রকল্পটি দখল করে কৃষকদের কাছ থেকে খেয়াল খুশিমত সেচ খরচ আদায় করত। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর এলাকার কৃষক ও জমির মালিক মিলে উক্ত বাঁধ নির্মাণ করে সেচকাজে সহায়তা করতে ঐক্যমত পোষণ করেছে।

স্থানীয় কৃষকেরা জানিয়েছেন, এই সোনাইছড়ি খালে বাঁধ দিয়ে সেচ সুবিধা পেলে বেরো ধান, সবজি ক্ষেত ও গোলাপ চাষে আগ্রহী হবেন।

জানতে চাইলে বরইতলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ছালেকুজ্জামান বলেন, বিগত বছরগুলোতে কিছু লোক নিজেদের খুশি মত বাঁধ দিয়ে কৃষকদের জিন্মি করে বিশাল অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিত। এবছর স্থানীয় কৃষক, জমির মালিক ও স্থানীয় লোকজনের সমন্বয়ে একটি কমিটি করে এই বাঁধ নির্মানের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, মাটির বাঁধ তৈরি হলে স্থানীয় কৃষকেরা চাষের জমিতে নিরবচ্ছিন্ন সেচ সুবিধা পাবেন। এতে বিপুল অনাবাদি জমিও চাষের আওতায় আসবে নিসন্দেহে।