শান্তি রঞ্জন চাকমা, কাপ্তাই »
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর রূপসী কাপ্তাই। সবুজ পাহাড় ও কর্ণফুলী নদীর কোল ঘেঁষে গড়ে উঠেছে একাধিক পিকনিক স্পট ও বিনোদনকেন্দ্র। সম্প্রতি পার্বত্যাঞ্চলে ঘটে যাওয়া অনাকাঙ্খিত ঘটনায় কাপ্তাইয়ে পর্যটকদের আগমন একাবারে কমে গেছে। ৮-৩১ অক্টোবর পর্যন্ত পর্যটকদের পাহাড়ে ভ্রমন জেলা প্রশাসন নিরুৎসাহিত করার প্রেক্ষিতে কাপ্তাইয়ে পর্যটন শিল্পে ব্যাপক ধস নেমেছে।
কাপ্তাইয়ের পর্যটন কেন্দ্র শিলছড়ি নিসর্গ রিভার ভ্যালি এন্ড পড হাউজের পরিচালক মো. সরোয়ার বলেন, গতবছর পর্যটকদের ভিড়ে আমাদের হিমশিম খেতে হয়েছে। এই বছর পাহাড়ের বিদ্যমান অস্থিরতার জন্য পর্যটক কমে গেছে। সৌন্দর্যে ঘেরা পর্যটন কেন্দ্রগুলো আজ জন-মানব শূন্য গয়ে নিরব। দারুণ খরা যাচ্ছে পর্যটন খাতে। এই খাতের ব্যবসায়ীরা এখন মাথায় হাত। পর্যটন শিল্পের সঙ্গে জড়িতরা ব্যবসায়িকভাবে মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়েছেন। লক্ষ লক্ষ টাকারও বেশি ক্ষতি হচ্ছে।
বিনোদন কেন্দ্রের কুটির এর মালিক মো. নাছিম আহমেদ বলেন, পর্যটক দর্শনার্থী না থাকায় হতাশ ব্যবসায়ীরা। পর্যটক না আসায় আমরা কুটির শিল্প ব্যবসার সাথে জড়িতরা অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি।
কাপ্তাই জেটিঘাটে অবস্থিত কাপ্তাই ধাবার পরিচালক মো. খালিদ সাইফুল বলেন, পর্যটকদের ঘিরে আমাদের ব্যবসা। পর্যটক না আসায় ব্যবসায় মন্দা চলায় স্টাফদের বেতন দিতে পারছি না।
কাপ্তাই বিজিবি পরিচালিত ওয়াগ্গাছড়া প্যানোরোমা জুঁম রেস্তোরাঁ, কাপ্তাই সেনাবাহিনী পরিচালিত লেকভিউ পিকনিক স্পট, পাহাড়িকা পিকনিক স্পট, নিসর্গ রিভার ভ্যালি এন্ড পড হাউজ, বনবিভাগের পরিচালিত প্রশান্তি পার্ক সহ একাধিক পর্যটন কেন্দ্র গুলোতে পর্যটক আনাগোনা কমে গেছে।
কাপ্তাই উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. দিলদার হোসেন বলেন, কাপ্তাই হ্রদের নীল জলরাশি ও আকাবাঁকা পাহাড়ের দৃশ্য সহজেই ভ্রমণপিপাসুদের হৃদয় মন জয় করে নেয়। পাহাড়-নদী-ঝরনার সংমিশ্রণে এখানে অনেক প্রাকৃতিক সৌন্দর্য রয়েছে। সারাবছর জুড়ে পর্যটকদের আনাগোনা থাকায় মুখরিত থাকে পর্যটনকেন্দ্রগুলো। কাপ্তাই উপজেলা হচ্ছে একটি শান্তি প্রিয় এলাকা। সকলে মিলে মিশে সম্প্রতির বন্ধনে থাকতে চায়। অচিরেই পর্যটন খাতে সমস্যা কেটে যাবে এবং পর্যটন শিল্পে আবারো প্রাণ ফিরে পাবে বলে ব্যবসায়ীদের বিশ্বাস।
কাপ্তাইয়ে পর্যটন শিল্পে ব্যাপক ধস
ব্যবসায়ীদের লক্ষ লক্ষ টাকার ক্ষতি