সুপ্রভাত ডেস্ক :
৩ কোটি ৪৭ লাখ টাকা কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল এ আর রহমনের বিরুদ্ধে। অস্কারজয়ী সংগীত পরিচালককে নোটিস পাঠাল মাদ্রাজ হাইকোর্ট। ২০১১-২০১২ আর্থিক বছরের মধ্যে এই কর ফাঁকি দিয়েছিলেন রহমান। এমনই অভিযোগ আয়কর দপ্তরের। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই রহমানকে নোটিস পাঠাল মাদ্রাজ হাইকোর্ট। খবর : সংবাদপ্রতিদিন’র।
আয়কর দপ্তরের অভিযোগ, ২০১১ সালে লিব্রা মোবাইলস নামে এক ব্রিটেনের কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি বদ্ধ হয়েছিলেন এ আর রহমান। তিন বছরের জন্য চুক্তিটি করেছিলেন তিনি। শর্ত ছিল, সেই সময়ের মধ্যে কোম্পানির জন্য রিং টোন তৈরি করবেন। এর জন্য ৩ কোটি ৪৭ লাখ টাকা পারিশ্রমিক বাবদ নিয়েছিলেন এ আর রহমান। তবে কর ফাঁকি দেওয়ার জন্য পারিশ্রমিক নিজের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে নেননি তিনি। তার বদলে এ আর রহমান ফাউন্ডেশন নামে চ্যারিটি ট্রাস্টের অ্যাকাউন্টে নেন।
আয়কর দপ্তরের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, একজন ব্যক্তি নিজের পারিশ্রমিকের অর্থ শুধুমাত্র ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টেই নিতে পারেন। কোনও চ্যারিটেবল ট্রাস্টের অ্যাকাউন্টে নয়। ব্যক্তিগত অ্যাকউন্টে কর কাটানোর পর সেই অর্থ তিনি চ্যারিটেবল ট্রাস্টকে দান করতেই পারেন। কিন্তু রহমান তা করেননি। এর জেরেই মাদ্রাজ হাইকোর্টে রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানো হয়। মামলাটি বিচারপতি টি এস শিবাগনানম এবং ভি ভাবনানি সুব্বারোয়ানের বেঞ্চে উঠলে তারাই রহমানের বিরুদ্ধে নোটিস জারি করেন।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে এ আর রহমানকে সেন্ট্রাল এক্সাইজ এবং জিএসটির জরিমানা মিলিয়ে ৬ কোটি ৭৯ লক্ষ টাকা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল আয়কর দপ্তর। সেই নির্দেশে সাময়িকভাবে স্থগিতাদেশ জারি করেছিল মাদ্রাজ হাইকোর্ট।
বিনোদন