সুমন শাহ্, কর্ণফুলী
করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি নিয়েই নৌপথে কর্মস’লে ফেরা যাত্রীদের ব্যাপক ভিড়। যাত্রীদের সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মানতে দেখা যায়নি। স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে অতিরিক্ত যাত্রী বহনসহ ঘাট ইজারাদারা নিচ্ছেন বাড়তি ভাড়াও। এতে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা বাড়ছে। রোববার সকালে এমনই চিত্র দেখা যায় চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ পাড়ে জুলধা ইউনিয়নের ডাঙারচর, উত্তর পাড়ে নগরের সল্টগোলা ঘাটে।
সামাজিক দূরত্ব নিয়ন্ত্রণের কথা বলা হলেও বাসত্মব চিত্র পুরোটাই উল্টো। নৌকায় যাত্রীদের গাদাগাদি করে অবস’ান করতে দেখা গেছে। ঘাটে সামাজিক নিরাপত্তা ও সচেতনতামূলক বিলবোর্ড কিংবা ব্যানারও নেই। তবে এবিষয়ে ঘাটের ইজারাদার বা উপজেলা প্রশাসনকে তদারকি করতেও দেখা যায়নি। এ ঘাটের নৌপথে দূরত্ব ৫০০ মিটারের বেশি। এই পথে প্রতিদিন চলাচল করে বিভিন্ন পেশার মানুষ ও পোষাক কারখানার কয়েক শতাধিক শ্রমিক। অল্প পথ হলেও নৌকার সংখ্যা অপ্রতুল, ঝুঁকি জেনেও একটি নৌকা পেলেই গাদাগাদি করে উঠে পড়েন যাত্রীরা। করোনা ভাইরাসের মধ্যেও ঘাট কিংবা নৌকাতে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না। অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে গাদাগাদি করে চলছে পারাপার। তাই যাত্রী সাধারণ নানা বিড়ম্বনা ছাড়াও রয়েছেন কোভিড-১৯ ঝুঁকির মধ্যে। কেউ মানছেন না সামাজিক দূরত্ব। ভিড় করে যাত্রীদের উঠতে দেখা গেছে। তাদের অনেককে মাস্কও ব্যবহার করতেও দেখা যায়নি।
স’ানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার জুলধা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড ডাঙারচর-সল্টগোলা ঘাটে গত ১১ বছরে বেশ কয়েকটি দুর্ঘটনা ঘটনাও ঘটেছে। মর্মানিত্মক প্রাণহানি ঘটেছে প্রায় ১০জনের। ইজারাদার-সাব ইজারাদারের গাফিলতির কারণে এসব দূর্ঘটনা ঘটলেও নেওয়া হয়নি কোনো ব্যবস্থা। আর ঘাটটি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন থেকে ইজারা দেওয়া হলে যথাযথ তদারকি করা হয় না বলে অভিযোগ রয়েছে নিয়মিত পারাপার হওয়া যাত্রীদের। বর্তমানে ঘাটটি এখনো ইজারা হয়নি। স্থানীয় চেয়ারম্যানের অধীনে চলছে বলেও জানা যায়।
স’ানীয় বাসিন্দা ও সাবেক ইউপি সদস্য সিরাজুল ইসলাম হৃদয় জানান, করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি নিয়েই এ ঘাট দিয়ে সবাই করছেন পারাপার। কেউ মানছে না স্বাস্থ্যবিধি। পাশাপাশি বসে বা দাঁড়িয়ে যাত্রী পারাপার করছে। অনেকেই পড়ছেন না মাস্ক। নৌকার মাঝিরাও ৮ টাকার ভাড়ায় নিচ্ছে ১০ টাকা। নিচ্ছে অতিরিক্ত যাত্রী। এতে করে অন্য যাত্রীদের মধ্যে রয়েছে করোনার আতংক ও জীবনের ঝুঁকি।
কর্ণফুলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নোমান হোসেন বলেন, সামাজিক দূরত্ব নিয়ন্ত্রণ, নৌকায় যাত্রীদের গাদাগাদি করে অবস্থান না করা এবং ঘাটে সামাজিক নিরাপত্তা ও সচেতনতামূলক বিলবোর্ড কিংবা ব্যানার স্থাপনের নির্দেশনা রয়েছে। যেসব ঘাটে এ সকল বিধি নির্দেশ গুলো মানবে না সে সব ঘাটের ইজারাদারদের বিরম্নদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।