করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি মোকাবেলায় আতংকিত না হয়ে সচেতন হওয়া এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যে টিকা গ্রহণের উপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক প্রশাসক এবং মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন।
মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে তিনি নগরবাসীর প্রতি এ আহবান জানান। এ সময় তিনি বলেন, সরকার করোনাভাইরাস মোকাবেলায় দ্রুততম সময়ের মধ্যে দেশের সকল জনগণকে টিকার আওতায় নিয়ে আসার জন্য নানামুখী কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন।
ইতিমধ্যে সরকার প্রতিমাসে ১ কোটি টিকা প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। সে লক্ষ্যে এখন থেকেই নগরীর টিকাদান কেন্দ্রগুলোকে তৈরির অনুরোধ জানান তিনি। বিবৃতিতে তিনি বলেন টিকাদান কেন্দ্রগুলোতে টিকা গ্রহীতার উপচে পড়া ভিড় পরিলক্ষিত হচ্ছে। সেখানে কোন স্বাস্থ্যবিধি কিংবা সামাজিক দূরত্ব মানা হচ্ছে না। ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। বয়স্করা খুব বেশি সমস্যার মধ্যে পড়ছেন। ফলে টিকা গ্রহণ করতে গিয়ে উল্টো সংক্রমিত হওয়ার আশংকা রয়ে যায়। এছাড়া করোনার ডাবল ডোজ নেওয়ার পরেও যারা সংক্রমিত হচ্ছেন তারা কোন কেন্দ্র থেকে টিকা গ্রহণ করেছে তার তথ্য সংগ্রহে রাখার জন্য বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি। তিনি পাহাড়তলী হাজী ক্যাম্প এবং কেইপিজেডের নারী প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে আইসোলেশন সেন্টার স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করার আহবান জানান।
তিনি নমুনা সংগ্রহ বুথের সংখ্যা বাড়ানোর অনুরোধ জানিয়ে বলেন বুথের সংখ্যা না বাড়ালে লকডাউন অকার্যকর হয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি মাস্ক পরাকে উদ্বুদ্ধ করা এবং আইনে পরিণত করার অনুরোধ জানান। মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে না পারলে কোনভাবেই সংক্রমণ কমানো সম্ভব হবে না। মাস্ক পরাকে সামাজিক আন্দোলনে রূপদান করতে হবে এক্ষেত্রে সামাজিক সংগঠনগুলোকেও এগিয়ে আসার আহবান সুজনের।
তিনি নগরবাসীকে সুরক্ষা অ্যাপে গিয়ে টিকার নিবন্ধন করার অনুরোধ জানিয়ে কোন গুজবে কান না দিয়ে সরকারি নির্দেশনা মেনে চলার আহবান জানান।
