সুপ্রভাত ডেস্ক :
দক্ষিণ কোরিয়ায় দ্বিতীয় দফা করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সামাজিক সংক্রমণের পর্যায়ে যাওয়ার আগেই প্রযুক্তির সাহায্যে উপসর্গহীন বাহকদের খুঁজে বের করছে দেশটি।
দ্য কোরিয়া হ্যারাল্ড জানায়, সিউলের ব্যস্ততম এলাকা ইতায়েওয়ানের ক্লাব ও বারগুলোই দেশটির করোনা সংক্রমণের সবচেয়ে বড় ক্লাস্টার। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, নতুন আক্রান্তদের ১৩৩ জনের ক্ষেত্রেই ইতায়েওয়ানের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে ৮৩ জন সশরীরে সেখানে গিয়েছিলেন। বাকিরা অন্যদের সংস্পর্শ থেকে আক্রান্ত হয়েছেন।
সংক্রমণ এড়াতে এই ক্লাস্টারকে ঘিরে মহামারি অনুসন্ধান চলছে। অনুসন্ধানে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী ব্যাপক হারে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা করা হচ্ছে। ইতোমধ্যেই ইতায়েওয়ান ক্লাস্টারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ৩৫ হাজার মানুষের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।
কেসিডিসির উপ-পরিচালক কেয়ান জুন উক জানান, কিউআর কোড ও ব্লুটুথের মতো প্রযুক্তি ব্যবহার করে কারা সেখানকার বার ও ক্লাবে গিয়েছিলেন সেসব তথ্য খুঁজে বের করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘কারো গোপনীয়তা লঙ্ঘন না করে, আইনি কাঠামোর মধ্যেই আমরা অস্থায়ীভাবে কয়েকজনের নির্দিষ্ট তথ্য সংগ্রহ করে অনুসন্ধান করেছি।’
তিনি আরও জানান, এ সপ্তাহের শেষে দেশটি জটিল সময় পার করতে যাচ্ছে। কয়েকটি অঞ্চলে সামাজিক সংক্রমণের দিকে মোড় নিতে পারে।
দেশটিতে নতুন আক্রান্তদের মধ্যে অধিকাংশেরই কোনো ধরনের উপসর্গ দেখা যায়নি। ফলে, উপসর্গহীন বাহকদের মাধ্যমে ঝুঁকিতে থাকা বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তিদের মধ্যে করোনা সংক্রমণ ঘটতে পারে বলে মনে করছে কেসিডিসি।
সংক্রমণ ঠেকাতে দেশটির ১৫টি শহর ও প্রদেশে জনসমাবেশসহ চলাফেরায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।