সুপ্রভাত ডেস্ক :
বাংলাদেশের স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে যে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে ৪,০১৪ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছেন।আর এই সময়ের মধ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪৫ জন। সব মিলিয়ে বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত মোট শনাক্ত হওয়া কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ১৪১,৮০১ জনে।
গত ২৪ ঘণ্টায় যাদের মৃত্যু হয়েছে, তাদের নিয়ে বাংলাদেশে কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা এখন ১,৭৮৩ জন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে এসব তথ্য দিয়েছেন অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা। তিনি আরও জানিয়েছেন যে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২,০৫৩ জন সুস্থ হয়েছেন, ফলে সুস্থ হওয়াদের মোট সংখ্যা দাঁড়ালো ৫৭,৭৮০ জনে। দেশের ৬৮টি আরটি-পিসিআর ল্যাবের মধ্যে ৬৫টির পরীক্ষা তথ্য তুলে ধরে তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাস শনাক্তে ১৪ হাজার ৪১৩টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। আগের কিছু নমুনাসহ পরীক্ষা করা হয়েছে ১৭ হাজার ৮৩৭টি নমুনা। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়াল ৭ লাখ ৪৮ হাজার ৩৪টিতে।
দেশে নতুন করে আরো দুই হাজার ৫৩ জন করোনারোগী সুস্থ হয়েছেন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৫৭ হাজার ৭৮০ জন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৪০ দশমিক ৭৫ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২২ দশমিক ৫০ শতাংশ, এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৮ দশমিক ৯৬ শতাংশ। তবে শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ২৬ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় যারা মারা গেছেন তাদের বিশ্লেষণ তুলে ধরে নাসিমা সুলতানা বলেন, মৃত ৪৫ জনের মধ্যে ৩৬ পুরুষ এবং নয়জন নারী। তাদের বয়স বিশ্লেষণে জানানো হয়, মারা যাওয়াদের মধ্যে ২১ থেকে ৩০ বছরের দুজন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের তিনজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের সাতজন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১১ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ১৪ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের ছয়জন, ৮১ থেকে ৯০ বছরের একজন এবং ৯১ থেকে ১০০ বছর বয়সসীমার একজন রয়েছেন।
মৃতদের মধ্যে ঢাকা বিভাগেরই বাসিন্দা রয়েছেন ২২ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ১০ জন, খুলনায় পাঁচজন, সিলেট ও বরিশালে তিনজন করে এবং রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগে একজন করে মৃত্যুবরণ করেছেন। এদের মধ্যে হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেছেন ৩০ জন এবং বাড়িতে মারা গেছেন ১৪ জন এবং মৃত অবস্থায় হাসপাতালে এসেছেন একজন। গত ডিসেম্বরের শেষ দিকে চীনের উহান শহরে প্রথম শনাক্ত হওয়া ভয়াবহ ছোঁয়াচে এই ভাইরাসটি বাংলাদেশে প্রথম শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। সেদিন তিনজন আক্রান্ত শনাক্ত হওয়ার কথা জানায় সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)।