নিজস্ব প্রতিবেদক :
করোনা চিকিৎসায় আরো দুই হাসপাতাল বৃহস্পতিবার উদ্বোধন হতে যাচ্ছে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ১০০ শয্যার করোনা ইউনিট এবং সমপরিমাণ শয্যা নিয়ে হলিক্রিসেন্ট হাসপাতাল। এদের মধ্যে হলিক্রিসেন্ট হাসপাতাল জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হবে। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও চট্টগ্রামে করোনা প্রতিরোধ বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান আ জ ম নাছির উদ্দীন হাসপাতাল দুটি উদ্বোধন করবেন।
এদিকে বর্তমানে করোনা চিকিৎসায় তিনটি (আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতাল, ফৌজদারহাটের বিআইটিআইডি ও ফিল্ড হাসপাতাল) বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। কিন্তু এই তিনটির সবকটির সিট পরিপূর্ণ। কোথাও সিট খালি নেই। এঅবস্থায় নতুন হাসপাতাল ছাড়া কোনো উপায় ছিল না। শেষপর্যন্ত সরকার চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের তত্ত্বাবধানে ১০০ শয্যার কোভিড ইউনিট চালুর অনুমোদন দেয়। অপরদিকে বেসরকারি ক্লিনিক মালিকদের মাধ্যমে প্রস্তুত করা হলিক্রিসেন্ট হাসপাতালকে জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধানে চালুর অনুমোদন দেয়। হলিক্রিসেন্ট হাসপাতালে ১১টি আইসিইউ ও ৯টি এইচডিও সুবিধা রয়েছে। এছাড়া ৮০টি সাধারণ বেড রয়েছে।
অপরদিকে বর্তমানে চিকিৎসাধীন তিন হাসপাতালের মধ্যে জেনারেল হাসপাতালে ১১০টি সিট, ফৌজদারহাটের বিআইটিআইডিতে ৩০টি ও ফিল্ড হাসপাতালে ৫০টি সিট রয়েছে।
হলিক্রিসেন্ট হাসপাতাল কীভাবে পরিচালনা করবেন জানতে চাইলে জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. অসীম কুমার নাথ বলেন, একজন সহকারীকে দায়িত্ব দিয়ে ডিউটি রোস্টার করে টিম করে দেয়া হবে। আমি জেনারেল হাসপাতাল থেকে তা মনিটরিং করবো। নতুন ডাক্তার এসেছে তাদের দিয়ে টিম করে নেয়া হবে।
নতুন করে দুই হাসপাতালের মধ্যে বৃহস্পতিবার থেকেই রোগী ভর্তি করানো যাবে বলে জানান চট্টগ্রামের বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবির। তিনি বলেন, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সব কিছু সম্পন্ন রয়েছে। সকালে উদ্বোধনের পর থেকেই রোগী ভর্তি করানো যাবে।’
হলিক্রিসেন্ট সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, হলিক্রিসেন্ট হাসপাতালের জন্য সব ধরনের জনবল নিয়োগ দেয়া হয়েছে। চতুর্থ শ্রেণীর কিছু স্টাফ বাকি রয়েছে। সেগুলো দিয়ে হয়তো কাল থেকে রোগী ভর্তি করানো যাবে না, এক দিন সময় লাগতে পারে। সেই হিসেবে হয়তো শুক্রবার থেকে রোগী ভর্তি করা যাবে।
তিনি আরো বলেন, হলিক্রিসেন্ট হাসপাতালে সবচেয়ে বেশি আইসিইউ এবং এইচডিও সুবিধা (২০টি) রয়েছে। এটা বিশাল প্রাপ্তি। তাই কোভিড চিকিৎসার জন্য এটি হতে পারে অন্যতম একটি বিশেষায়িত হাসপাতাল। হাসপাতালের পরিবেশ ও গাড়ি পার্কিং সুবিধা রয়েছে। প্রধান সড়কের পাশে হওয়ায় যাতায়াত সুবিধাও ভালো।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রামে দিন দিন করোনা রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। হাসপাতালগুলোতে সিট না থাকায় অনেকেই ভর্তি হতে পারছে না। নতুন এই দুই হাসপাতাল চালু হলে উপকৃত হবে রোগীরা।
এ মুহূর্তের সংবাদ