সুপ্রভাত ডেস্ক »
ল্যাপটপ আমদানিতে মোট কর কমানোর পরিকল্পনা করছে সরকার। এতে কমতে পারে পণ্যটির দাম। এ উদ্যোগের লক্ষ্য, দেশের বাজারে রিফার্বিশড ও নকল পণ্যের প্রবেশ প্রতিরোধ করা এবং স্থানীয় ফ্রিল্যান্সার ও সফটওয়্যার ডেভেলপারদের সহায়তা করা। অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, এই কর হ্রাস ২০৪১ সালের মধ্যে সরকারের ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ স্বপ্ন বাস্তবায়নে সহায়ক হবে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) লক্ষ্য করেছে যে বর্তমান মোট কর এবং বৈদেশিক মুদ্রার দর ক্রমেই বাড়তে থাকায় ল্যাপটপের দাম সাধারণের নাগালে বাইরে চলে গেছে। এর ফলে স্থানীয় বাজারে নিম্নমানের এবং রিফার্বিশড ল্যাপটপের সরবরাহ বেড়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে স্থানীয় সফটওয়্যার শিল্প ও ফ্রিল্যান্সারদের সহায়তা করতে স্থানীয় বাজারে ল্যাপটপ আরও সাশ্রয়ী করতে মন্ত্রণালয় এই উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানান কর্মকর্তারা। খবর টিবিএস।
কর্মকর্তারা বলেন, আমদানিকারকদের বর্তমানে ল্যাপটপ আমদানিতে ৫ শতাংশ শুল্কসহ বর্তমানে ল্যাপটপে আমদানি মোট ৩১ শতাংশ শুল্ককর দিতে হচ্ছে। তবে আসন্ন বাজেটে মোট শুল্ককর ১০ শতাংশ কমিয়ে ২০.৫০ শতাংশে নামিয়ে আনা হবে।
শিল্পসংশ্লিষ্টরা এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে বলেন, সরকার আগে স্থানীয় প্রস্তুতকারকদের সুরক্ষা দিতে ল্যাপটপ আমদানিতে কর বাড়িয়েছিল। তবে এ পদক্ষেপে শেষপর্যন্ত গ্রাহকদের খরচ বেড়েছে।
বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অভ সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস-এর (বেসিস) সভাপতি রাসেল টি আহমেদ বলেন, ‘সরকার যদি ল্যাপটপ আমদানিতে মোট কর কমিয়ে দেয়, তাহলে এটি স্থানীয় প্রস্তুতকারকদের মধ্যে প্রতিযোগিতা তৈরি হবে-যা পণ্যের মান উন্নত করতে সহায়ক হবে।’
ফলে স্থানীয় প্রস্তুতকারকেরা উচ্চমানের আমদানিকৃত পণ্যের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করার জন্য তাদের পণ্যের গুণমান বাড়াবে এবং এতে গ্রাহকরাও উপকৃত হবেন বলে মন্তব্য করেন তিনি।
রাসেল বলেন, ‘এই পদক্ষেপে স্থানীয় বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ড আসতে পারবে। মুক্ত অর্থনীতিতে আমদানিকৃত ও স্থানীয়ভাবে প্রস্তুতকৃত উভয় পণ্য রাখতে দেওয়া উচিত। তা নাহলে নিম্নমানের, রিফার্বিশড এবং চোরাই করা পণ্য শূন্যস্থান পূরণ করবে।’
তিনি বলেন, ‘স্থানীয় কেনাকাটায় ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ পণ্য স্থানীয় সংগ্রহে উৎসাহিত করা উচিত। তবে আমাদের নিজেদেরকে বিকশিত করার জন্য সময়ের প্রয়োজন। আর এর জন্য উচ্চমানের পণ্যও আমদানি করা প্রয়োজন, কিন্তু গত বছর আমরা এতে বাধার মুখে পড়েছিলাম।’
স্থানীয় শিল্প দুটি চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছে-পণ্যের গুণমান বাড়ানো এবং চাহিদা মেটানো। স্থানীয় কোম্পানিগুলো দেশের বাজারের চাহিদা মেটাতে পারেনি বলে সরকার ল্যাপটপ আমদানিতে কর কমানোর এই পদক্ষেপ নিয়েছে।