রং
তাপস চক্রবর্তী
রং ছিলো যেখানে তুমি ছিলে রাতের মতো
আঁধারেরও রং আছে জানি…
শিউলির রঙে যেমনটা সাজানো ভোর।
স্নান শেষে গতরের হলুদরা খেলে যেতো
খোলা হাওয়ার মতো…
অথচ স্নানঘর জানে নগ্নতার কী রং!
সুখেরও রং আছে যেমনটা সত্যের রং
ঠোঁটের রং যেমন খেলে সবুজ পাতায় পাতায়
মিথ্যেরও রং আছে রঙে রঙিন বিছানায়…
অথচ
মৃত্যুরও রং আছে সেই কথা কজন বোঝে!
যেমন জলে-স্থলে পাতায় পাতায়
কতো রং লেগে থাকে মুগ্ধ জ্যোৎস্নায়।
আমিতো দেখি তোমার রং তোমার চোখের তারায়।
সর্বনাশ
রাজা রাকিব
মনলোভা নিসর্গের পরতে পরতে
পরম চোষ্য অকল্মষ সুগভীর চুম্বনে –
সেঁকে তুলে আনি যত সুষমা, অমৃত নির্যাস,
কেঁপে কেঁপে ওঠে ভূমি সমগ্র থেকে আকাশ।
ফুঁসে উঠুক মলয়, নেমে আসুক প্রলয়,
ধসে যাক নিলয়, উবে যাক বলয় –
নিশ্চয় বিনিশ্চয় অত্যাশ্চর্যপূর্বক সর্বনাশ,
শেষ চুমুকে অত্রস্ত তৃপ্ত কবি কিংবদন্তি!
সেই-ই হয় নুহাশ, যেটি হয় ইতিহাস।
সেতু-৭
মান্নান নূর
শরমে শরমে তোমাকে বোলাই-“কাছে এসো”,
তুমি দু’হাত দিয়ে মুখ ঢেকে নিলে।
তৃষ্ণার চাতকচোখে তোমাকে গিলি,
অপলক চেয়ে থাকার ঝরনা
নিস্তব্ধ ঘরে ছলাৎ-ছলাৎ।
এ শীতে বৃষ্টি নেই, তবু মনের গহীনে
কী দারুণ বৃষ্টি!
তোমার গোলাপবর্ণ কম্পমান ঠোঁটে
কুয়াশাঘোর ভেসে যায়।
প্রিয়তমা সেতু! সমগ্র পৃথিবী
এরকম ভালোবাসাময় হয়ে উঠুক না!






















































