কবিতা

ঝরা পাতার গল্প

গোলাম সরোয়ার

অবশেষে নিজ বলতে আর কিছুই থাকে না…
এই যেমন
সন্ধ্যাতারা, মুগ্ধ চাঁদ, একান্ত আকাশ,
প্রিয় কৃষ্ণচূড়া
সবই একদিন দূরে সরে যায়।
এমনকি প্রিয়জনও না।

ঝরা পাতার সঙ্গে যেমন উড়ে যায় সময়,
একটার পর একটা পাল্টে যায় স্মৃতির পাতা,
হারিয়ে যায় প্রিয় মানুষ।
ঠিক তেমনই আমি-ও যেন হয়ে যাচ্ছি
সেই ঝরা পাতার মতো।

 

 

শরতের চিঠি

বিবিকা দেব

শরতের আকাশে শুভ্র মেঘেদের ওড়াউড়ি। মেঘের ভেলায় চড়ে প্রিয়জনের চিঠি মিলিয়ে যাচ্ছে নীলিমায়। যদিও ফুরিয়েছে চিঠির প্রেম। রোজ বিকেলে পাঠ নিই আকাশমুখী হয়ে। তাতে বিরহগুলো ঝরে পরে বৃষ্টি হয়ে। প্রেম আর সুখগুলো উড়ে বেড়ায় আমাদের দূরত্বে। শরতের প্রেয়সী কাশফুল প্রেমের মুগ্ধতায় আবেগী হয়ে ওঠে। মেঘে-মেঘে বেলা হল। বেড়েছে চিঠির বয়স। তবুও শরতের আকাশে চিঠির প্রেম, শুভ্র তুলো হয়ে ভাসে।

 

 

যখন হেরি

জাহাঙ্গীর চৌধুরী

যখন হেরি তোমার নদী আর গিরি,
গতরের পারদ তপ্ত হয় ঝরতে।
বরফগলা নির্ঝরের স্রোতের মতো,
জোয়ারে নদীর সিংহদ্বার খুলতে।

গিরির জুটি কেড়ে নেয় নজর লুটি,
শঙ্খচিলের মতন আঁচড়ে ধরতে।
নদী আর গিরি কেন এত মনোহারি?
নিত্য মনকে প্রশ্ন করি মূল বুঝতে।

জবাব পাই এ-ই পৃথিবী জেগে আছে,
নদী গিরি চাষের ফসলের উচ্ছাসে।
মধ্যাকর্ষন আছে বলে সৌরজগতে,
নক্ষত্রেরা দিবানিশি মহাশূন্যে ভাসে।

নদী আর গিরি তোমার আছে বিধায়,
আকর্ষণ তাদের টেনে রাখে আমায়।

 

 

নীড়ে ফিরে এসো

যাইদ আল মারুফ

তুমি নীড়ে ফিরে এসো
সন্ধা নামার আগে আবছা ছায়াটা যেন
বলছে আমি শূন্যতায় ভুগছি।
বিষ্ময়ে ফের হেসো
সূর্যের পড়ন্ত সাজে মন গোছানোতে
আহ্লাদের একটা বেলা খুঁজছি।

হয়ো না অতিথি পাখি
দেখ বুক পিঞ্জরে উষ্ণতা শীতলতা
কত তোমায় ডাকছে ময়ূরী বলে।
আনমনা কেন থাকি?
কৌতুহলের ছোঁয়া বুঝবে তুমি বুঝবে
কেমন করে দ্রোহের আগুন জ্বলে।