নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজার
কক্সবাজারে করোনা আক্রান্তের পরিমাণ আশঙ্কাজনক হারে দিনদিন বাড়তে থাকায় কক্সবাজার পৌরসভাসহ জেলার কয়েকটি এলাকাকে ‘রেড জোন’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। আর এসব এলাকায় আগামী দুই সপ্তাহের জন্য কঠোর লকডাউন ঘোষণা করার চিন্তা করেছেন জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন। ইতোমধ্যে ৬ জুন রাত ১২টা থেকে ২০ জুন শনিবার রাত ১১.৫৯টা পর্যন্ত পুরো কক্সবাজার পৌরসভা লকডাউন থাকবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
কক্সবাজারের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. কামাল হোসেন কক্সবাজার পৌরসভার জন্য এই জরম্নরি নির্দেশনা জারি করেছেন। প্রয়োজন হলে পরে সিদ্ধান্ত নিয়ে সময় আরো বাড়ানো হবে। কক্সবাজার জেলা করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ কমিটির সিদ্ধানত্মক্রমে ৭দফা এ কঠোর নির্দেশনা জারি করা হয়।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এবং করোনা সংক্রান্ত ওয়ার্কিং কমিটির আহ্বায়ক মো. আশরাফুল আফসার এর নেতৃত্বে বৃহস্পতিবার (৪জুন) রাতে জুম ভিডিও কনফারেন্সে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভায় জানানো হয় করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যার ভিত্তিতে কক্সবাজার জেলাকে তিনটি জোনে বিভক্ত করা হয়েছে। জেলার আটটি উপজেলাকে ইউনিয়নভিত্তিক ও চারটি পৌরসভায় ওয়ার্ড ভিত্তিক বিন্যাস করে ম্যাপ তৈরি করা হয়েছে।
নির্দেশনা অনুযায়ী পুরো কক্সবাজার পৌরসভাকে ‘রেড জোন’ ঘোষণা করা হয়। লকডাউন চলাকালে সকল জনসাধারণ আবশ্যিকভাবে নিজ নিজ আবাসস’লে অবস্থান করবেন।
সকল ব্যক্তিগত ও গণপরিবহণ বন্ধ থাকবে। নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য বহনকরী হালকা ও ভারী যানবাহন রাত ৮টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত পর্যন্ত চলাচল করতে পারবে। কোভিড ১৯ মোকাবেলায় দায়িত্বপ্রাপ্ত বেসরকারি গাড়ি জেলা প্রশাসকের অনুমতি গ্রহণ সাপেক্ষে চলাচল করতে পারবে।
সকল প্রকার শপিং মল, দোকান, মার্কেট, বাজার, হাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। শুধুমাত্র রবিবার ও বৃহস্পতিবার কাঁচা বাজার ও মুদির দোকান স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে। ওষুধের দোকান এর আওতার বাইরে থাকবে। একইভাবে শুধুমাত্র রবিবার ও বৃহস্পতিবার বাণিজ্যিক ব্যাংকসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহ খোলা রাখা যাবে।
জরম্নরি সংবাদ সংগ্রহের জন্য নির্বাচিত সংবাদকর্মীদের ‘রেড জোন’ এ কাজ করার নিমিত্তে কক্সবাজার প্রেসক্লাব কর্তৃক প্রদত্ত ছবিযুক্ত বিশেষ পরিচিতি পত্র এবং রেড জোনে নিয়োজিত স্বেচ্ছাসেবীদের উপজেলা নির্বাহী অফিসার, কক্সবাজার সদর কর্তৃক প্রদত্ত ছবিযুক্ত বিশেষ পরিচিতি পত্র দৃশ্যমান অবস্থায় গলায় ঝুলানো থাকা সাপেক্ষে কাজ করার অনুমতি দেয়া হবে।
সকল প্রকার গণপরিবহন টার্মিনাল ‘রেড জোন’ এর বাইরে স্থানান্তর করতে হবে। প্রকাশ্য স’ানে বা গণজমায়েত করে কোন প্রকার ত্রাণ, খাদ্য সামগ্রী বা অন্য কোন পণ্য বিতরণ করা যাবে না।