কক্সবাজারের রামু ছোট বোনকে উদ্ধারে নেমে বড় বোনেরও মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজার »

রামুর বাঁকখালী নদীতে গোসল করতে নেমে পানিতে ডুবে দুই বোনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বেলা ১২টার দিকে উপজেলার ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের লম্বরীপাড়া ঘাট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
মৃত দু’বোন রামুর খোন্দকার পাড়ার আবদুল করিমের মেয়ে তাসফিয়া নূর জোহরা (৯) ও জান্নাতুল মাওয়া (৫)। তারা রামু কেন্দ্রীয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় ও শিশু শ্রেণির ছাত্রী।
প্রত্যক্ষদর্শী ও নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সকালে একই এলাকার আবদুল করিমের মেয়ে তাসফিয়া নূর জোহরা (৯), জান্নাতুল মাওয়া (৫), আজিজুল হকের মেয়ে আজিজা হাসনাত জেমি (৯), মো. ইসহাকের মেয়ে জেরিন (১১) এবং শফি আলমের মেয়ে শামিমা আক্তার (১৩) নামে ৫ শিশু গবাদি পশুর জন্য ক্ষেত থেকে ঘাস কেটে আনে। তারপর তারা ঘাসগুলো নদীর পানিতে ধুয়ে দলবেঁধে গোসল করতে নামে। বেলা এগারটার দিকে খেলার ছলে ছোট জান্নাতুল মাওয়াকে পানিতে তলিয়ে যেতে দেখে বড় বোন জোহরা ও অন্য সাথীরা তাকে উদ্ধারে যায়। তাদের শোর চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে ওই সময় ৩ জনকে উদ্ধার করতে পারলেও আবদুল করিমের দুই মেয়েকে খুঁজে পায়নি। রামু ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের কর্মী এবং স্থানীয়রা অনেক খোঁজাখুঁজি করে বেলা বারটার দিকে মেয়ে দুটিকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে।
পরিবেশবাদী সংগঠনের একাধিক ব্যক্তি জানান, শুষ্ক মৌসুমে নদীতে পানি কম থাকার কথা থাকলেও ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালি তোলার কারণে নদীর মাঝে মাঝে বড় বড় গভীর গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। যা বিপদজনক এক ধরনের মৃত্যুকূপ। ওই স্থানেও বালি তোলার কারণে ২৫-৩০ ফুট গর্ত ছিল বলে তারা জানিয়েছেন। দু’বোনের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
রামু ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার সোমেন বড়ুয়া জানান, বেলা বারটার দিকে রামুর বাঁকখালী নদীর ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের খোন্দকার পাড়া এলাকা থেকে মৃত অবস্থায় দুই শিশু কন্যাকে উদ্ধার করা হয়েছে। জানা যায় তারা দু’জনই আপন বোন।