সুপ্রভাত ডেস্ক »
চট্টগ্রাম অর্থঋণ আদালতে এস আলম গ্রুপের বিরুদ্ধে ১ হাজার ৯৬৪ কোটি টাকার ঋণখেলাপি মামলা দায়ের করেছে জনতা ব্যাংকের চৌমুহনী করপোরেট শাখা।
আদালত মামলা গ্রহণ করে গ্রুপটির মালিকানায় থাকা ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক ও আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের প্রায় ৭ কোটি ৪৩ লাখ শেয়ার হস্তান্তরের নির্দেশনা দিয়েছেন।
রোববার (১ ডিসেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম অর্থঋণ আদালতের বিচারক মুজাহিদুল রহমানের আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয় বলে জানিয়েছেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী রেজাউল করিম।
রেজাউল করিম বলেন, মামলার শুনানি চলমান আছে। মামলায় এস আলম গ্রুপের গ্লোবাল ট্রেডিং করপোরেশনের ১ হাজার ৯৬৪ কোটি টাকার ঋণ খেলাপির দায়ে সাইফুল আলম মাসুদ ও তার স্ত্রী ফারজানা পারভিনসহ ১০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
জনতা ব্যাংক ও বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুসারে, ব্যাংকটির জীবন বীমা শাখা থেকে এস আলম গ্রুপের মোট ঋণের পরিমাণ ৮ হাজার ২১৬ কোটি টাকা, যা এ শাখার মোট ঋণের ৯০ শতাংশ।
তবে বিষয়টি নিয়ে জনতা ব্যাংকের কেউ কথা বলতে রাজি হননি।
জনতা ব্যাংকের লিগ্যাল অ্যাডভাইজর শফিকুল ইসলাম চৌধুরী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ব্যাংকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত সাইফুল আলম মাসুদ ও তার ভাই আবদুস সামাদ লাবুর মালিকানায় থাকা দুটি ব্যাংকের শেয়ার হস্তান্তরের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন। একইসঙ্গে ঋণের বিষয়টি যথাযথভাবে পরিপালন করা হয়েছিল কি,না তা খতিয়ে দেখতে দুদককে নির্দেশনাও দিয়েছেন আদালাত।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০০৯ সালে এস আলম গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ট্রেডিং করপোরেশন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা না মেনে সাধারণ বিমা ভবনে অবস্থিত জনতা ব্যাংকের চট্টগ্রাম করপোরেট শাখা থেকে প্রাথমিকভাবে ৬৫০ কোটি টাকা ঋণ নেয়। প্রতিষ্ঠানটি ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত কোন ঋণ পরিশোধ না করায় তা সুদে-আসলে ১ হাজার ৯৬৩ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। এছাড়া এ শাখা থেকে এস আলম গ্রুপের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের নামেও অন্তত ৬ হাজার ৫০০ কোটি টাকার ঋণ আছে।
ব্যাংকটির কর্মকর্তারা জানান, ঋণ আদায়ে জনতা ব্যাংক গত ২০ নভেম্বর এস আলম গ্রুপের প্রায় ২ হাজার শতাংশ জমি নিলামে বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে। এ বিক্রি করলে অন্তত ৩০০ কোটি টাকা আদায় করা সম্ভব। বাকি অর্থ আদায়ে গ্লোবাল ট্রেডিং করপোরেশনের নামে থাকা অন্যান্য সম্পত্তিও পর্যায়ক্রমে নিলামে তোলা হবে।