সুপ্রভাত ডেস্ক »
ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত নাওকি ইতো বলেছেন, এশিয়ায় বিনিয়োগের নতুন গন্তব্য হয়ে উঠছে বাংলাদেশ।
“বিনিয়োগকারীদের দৃষ্টিকোণ থেকে জাপানি বিনিয়োগের সম্ভাবনা অনুযায়ী, ‘চায়না প্লাস ওয়ান’ বিনিয়োগের গন্তব্য হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করবে বাংলাদেশ। কোম্পানিগুলো এখন চীনের বাইরেও বিনিয়োগের জায়গা সন্ধান করে চলেছে।”
বৃহস্পতিবার ঢাকার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিকাব) আয়োজিত ‘ডিকাব টকে’ অংশ নিয়ে এ কথা বলেন জাপানি রাষ্ট্রদূত।
নাওকি ইতো আরও বলেন, “বাংলাদেশ নিশ্চিতভাবেই আলো ছড়াবে ও নিজেদের রূপান্তর ঘটাবে, তবে এজন্য তাদের এখনও অনেক পরিশ্রম চালিয়ে যেতে হবে। এখানে সুযোগ ও সম্ভাবনা রয়েছে। আমাদের শুধু চাই পরিবেশ। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যেই পদ্মা সেতু ও ঢাকা মেট্রো রেলের মতো বড় অবকাঠামো আসতে চলেছে।”
জাপানি রাষ্ট্রদূত আরও জানান যে আড়াইহাজার স্পেশাল ইকোনমিক জোন (বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল) প্রস্তুত হয়ে গেছে এবং তারা এই বছরের শেষ নাগাদ বিভিন্ন কোম্পানির কাছ থেকে প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগ (এফডিআই) প্রত্যাশা করছেন।
নাওকি ইতো আশ্বস্ত করেন যে তার দেশ আগামী নভেম্বরে কোভ্যাক্সের মাধ্যমে আরও টিকা পাঠাবে।
রাষ্ট্রদূত আরো বলেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যূত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহনকারী রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য জাপান মিয়ানমারের সাথে যোগাযোগ অব্যাহত রাখবে।
তিনি বলেন, তবে মিয়ানমারে পরিস্থিতিতে কোন দিকে যাচ্ছে তা অনুমান করা কঠিন।
তিনি আরো বলেন, রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে মিয়ানমারের ওপর আরো চাপ বাড়াতে হবে। ‘রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
রাষ্ট্রদূত আরো বলেন, জাপান সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় বাংলাদেশকে সহায়তা দিয়ে আসছে। টোকিও আগামী নভেম্বর মাসে বাংলাদেশ কোস্ট কার্ডকে কয়েকটি টহল নৌযান প্রদান করবে।
তিনি বলেন, টোকিও ঢাকার সাথে আরো বাস্তবসম্মত সহযোগিতা গড়ে তোলার প্রয়াস জোরদার করবে।
ডিকাব সভাপতি পান্থ রহমান ও সাধারণ সম্পাদক এ কে এম মঈনুদ্দিনও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।