সুপ্রভাত ডেস্ক »
জাতীয় সংসদের সদস্যরা (এমপি) অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন বলে উন্নয়ন একেবারে তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার একাদশ জাতীয় সংসদের সদ্যপ্রয়াত সংসদ সদস্য রেবেকা মমিন ও আবুদল কুদ্দুস স্মরণে শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনা অংশ নিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা এই একাদশ সংসদের ২৮ জন সদস্যকে হারিয়েছি। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের ২৬ জন এবং জাতীয় পার্টির দু’জন। ভেবেছিলাম সংসদের এই অধিবেশনে কোনো শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনা হবে না। কিন্তু তা হলো না। ছাত্র রাজনীতির সময় থেকেই প্রয়াত রেবেকা মমিনের সঙ্গে আমার সম্পর্ক ছিল। রেকেবা মমিন আমার পত্রবন্ধু ছিলেন। সে আমাকে চিঠি দিত, আমিও দিতাম। সে তার চিঠিতে সবসময় বঙ্গবন্ধুর আদর্শের কথা লিখতো। তার সঙ্গে আমার বিশেষ বন্ধুত্ব ছিল। আমরা নিয়মিত যোগাযোগ করতাম।’
তিনি বলেন, ‘প্রয়াত আব্দুল কুদ্দুস ছিলেন একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। তিনি ছিলেন অত্যন্ত সাহসী নেতা। আসলে এই সংসদে আমাদের বহু নেতাকে হারাতে হয়েছে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর আমাদের এই নেতাদের অনেকের উপরই অকথ্য অত্যাচার হয়েছে। রেবেকা মমিন তার নিজের জমি গরিব মানুষের জন্য দান করে গেছেন। তিনি আমাদের আশ্রয়ণ প্রকল্পে জমি দান করেছেন। আমাকে বললেন, আমি জমি দিয়ে দিচ্ছি, এগুলো দিয়ে আমি কি করব।’ খবর সারাবাংলা।
সংসদ নেতা বলেন, ‘আমাদের ময়মনসিংহের নেতা মতিউর রহমান সাহেব মারা গেলেন। আমরা যখন জোট করি তখন জাতীয় পার্টির রওশন এরশাদের জন্য তার আসনটি আমরা ছেড়ে দিই। আমি উনাকে বললাম, আপনার আসনটি আমাদের জোটের জন্য ছেড়ে দিতে হবে। তিনি এক কথায় মেনে নিলেন, কোনো কথা বললেন না। তিনি এইরকম একজন নেতা ছিলেন। তা না হলে তিনি এই আসনে সংসদ সংসদ সদস্য থাকতেন।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রম একেবারে আমরা তৃণমুল পর্যায়ে পৌঁছে দিতে পেরেছি। এটা সম্ভব হয়েছে আমাদের সংসদ সদস্যরা অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন বলে। আজ বাংলাদেশকে আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদায় উন্নীত করতে পেরেছি। কিন্তু আমাদের দেশকে আরও উন্নত করতে হবে।’
শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় আরও অংশ নেন সংসদ উপনেতা ও আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, জাতীয় পার্টির মশিউর রহমান রাঙ্গাঁ, আওয়ামী লীগের আশরাফ আলী খান খসরু, সাজ্জাদুল হাসান, জুনাইদ আহমেদ পলক, ওয়াসিকা আয়শা খান ও আব্দুল আজিজ।