এবারের বিশ্বকাপে হট ফেভারিট ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা!

সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক »

কাতার বিশ্বকাপ শুরু হতে আর বেশিদিন বাকী নেই। এরই মধ্যে শুরু হয়েছে এবারের আসর কে জিতবে তা নিয়ে গবেষণা, ভবিষ্যদ্বানী দেয়ার চেষ্টা। নানা পরিসংখ্যানে এবারের বিশ্বকাপে ফেভারিট হিসেবে লাতিন আমেরিকান দেশ ব্রাজিল এবং আর্জেন্টিনার কথাই উঠে আসছে বারবার।
এবার সেই সুরে গান গাওয়ার চেষ্টা করলেন স্পেন কোচ লুইস এনরিকেও। তিনিও দাবি করেছেন, এবারের কাতার বিশ্বকাপ জয়ের অন্যতম ফেভারিট হচ্ছে আর্জেন্টিনা এবং ব্রাজিল। গত বছর মারাকানায় ব্রাজিলকে ১-০ গোলে হারিয়ে কোপা আমেরিকার শিরোপা জিতেছিল আর্জেন্টিনা। ১৯৯৩ সালের পর এই প্রথম আর্জেন্টাইনরা কোনো ট্রফি জেতে। এরপর লিওনেল মেসি অ্যান্ড কোং চলতি মাসের শুরুতেই লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে ফাইনালিসিমায় ইতালিকে ৩-০ গোলে হারিয়ে শিরোপা জয় করে নিয়েছে। খবর ডেইলি বাংলাদেশ’র
অন্যদিকে ব্রাজিল দুটি প্রীতি ম্যাচে দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপানকে হারিয়ে নিজেদের ঝালিয়ে নিয়েছে। ফিফা র‌্যাংকিংয়েও তারা রয়েছে শীর্ষস্থানে। শুধু তাই নয়, লাতিন আমেরিকার এই দুটি দল (ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা) তাদের বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে রয়েছে অপরাজিত।
শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে স্পেন কোচ লুইস এনরিকে বিশ্বকাপ নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে বলেন, ‘আমি দেখছি আর্জেন্টিনা এবং ব্রাজিল হচ্ছে বিশ্বকাপে অন্য দেশগুলোর ওপরে। অন্যদের চেয়ে অনেক ওপরে তাদের অবস্থান এখন। বিশ্বকাপেও তাদেরকেই ফেভারিট দেখছি আমি।’
গতকাল রোববার উয়েফা নেশন্স লিগে চেক রিপাবলিকের মুখোমুখি হবে স্পেন। ২০১০ বিশ্বকাপ জয়ীরা নেশন্স লিগে এখন পর্যন্ত মাত্র সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে ১-০ গোলে জয় পেয়েছে। চেক রিপাবলিকের বিপক্ষে দ্বিতীয় জয়ের আশা করছেন এনরিকের শিষ্যরা। প্রথম ম্যাচে পর্তুগালের সঙ্গে ১-১ গোলে এবং দ্বিতীয় ম্যাচে চেক রিপাবলিকের সঙ্গে ২-২ গোলে ড্র করেছে।
নিজেদের শক্তি এবং তাদের কাছে সমর্থকদের প্রত্যাশা নিয়ে এনরিকে বলেন, ‘যদি কেউ চায় যে, আমরা সবগুলো ম্যাচেই জিতবো এবং প্রতিপক্ষকে বিধ্বস্ত করে ছাড়বো, তাহলে আমি মনে করি তার মডার্ন ফুটবল সম্পর্কে ধারণাই নেই। আপনি যদি ফ্রান্সের (২০১৮ বিশ্বকাপ এবং ২০২১ নেশন্স লিগ জয়ী) দিকে তাকান, তাহলে বিষয়টা আরো ভালো বুঝতে পারবেন।’
এবারের উয়েফা নেশন্স লিগে ফ্রান্স খুবই বাজে খেলছে। ‘এ-১’ গ্রুপে তারা রয়েছে টেবিলের তলানীতে। প্রথম তিন ম্যাচ থেকে মাত্র ২ পয়েন্ট নিতে পেরেছে ফরাসীরা।