সুপ্রভাত ডেস্ক »
জাতীয় পরিচয়পত্রের ভুলে চাকরি হারানো পাকু দাশের পরিচয়পত্রটি সংশোধন করা হয়েছে। এখন চাকরিটি ফেরত পাওয়ার আশায় আছেন তিনি। সোমবার চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের কাছে যান পাকু। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সংশোধন হয় তার জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি)।
নতুন পাওয়া জাতীয় পরিচয়পত্রে দেখা যায় পাকু দাশের জন্ম ১৯৮৫ সালের ২০ এপ্রিল। সে হিসেবে তার বয়স ৩৭ বছরের কিছু বেশি।
আগের এনআইডিতে পাকুর জন্ম সাল ছিল ১৯৫৫। সে হিসেবে তার বয়স ৫৯ পেরিয়ে গিয়েছিল। পাকু দাশের মায়ের জন্ম ১৯৬৮ সালে। সে হিসেবে পাকু দাশের বয়স হয় ৬৭ বছর; যদিও তার মায়ের বয়স ৫৪ বছর।
বয়স ৫৯ বছরের বেশি হওয়ায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (সিসিসি) ১২৮ জন অস্থায়ী কর্মীকে গত ৩০ অক্টোবর চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। তখন পরিচ্ছন্নতাকর্মীর চাকরিটি হারিয়েছিলেন পাকু।
চট্টগ্রাম নগরীর মাঝিরঘাট রোডের মাদারবাড়ি সেবক কলোনিতে মা, স্ত্রী ও এক সন্তান নিয়ে থাকেন পাকু দাশ।
এনআইডি কার্ডের এই ভুল বিষয়ে নিজে কিছুই জানতেন না বলে দাবি করেন নিরক্ষর পাকু। চাকরি যাওয়ার পর তিনি জানতে পারেন, তার বয়স পেরিয়ে গেছে।
দফায় দফায় সিটি করপোরেশনের কার্যালয়ে গিয়েও চাকরি ফিরে পাওয়ার বিষয়ে কোনো আশ্বাস পাননি পাকু।
গত ২৬ ডিসেম্বর বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে পাকুকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হলে নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন, এই ব্যক্তি আবেদন করলে তার এনআইডি দ্রুত সংশোধন করে দেওয়া হবে।
সোমবার চট্টগ্রাম জেলার জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, তিনি (পাকু) গত রোববার লিখিত আবেদন করেছিলেন। আজ (সোমবার) আমাদের কাছে আসেন। এরপর উনার মা ও বোনের এনআইডি যাচাই করে উনার আইডি সংশোধন করে দেওয়া হয়েছে।
নতুন এনআইডি কার্ড পেয়ে পাকু দাশ উপস্থিত সংবাদকর্মীদের বলেন, আজকে নির্বাচন কমিশনের স্যারদের কাছে আসার পর এক ঘণ্টার মধ্যে আমি এনআইডি পেয়েছি। আশা করি, এবার চাকরিটাও ফিরে পাব। চাকরি পেলে মা-স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ভালোভাবে বাঁচতে পারব।
সিসিসির সচিব খালেদ মাহমুদ বলেন, পাকু দাশ যে কাগজপত্র দিয়েছিলেন, সেই অনুসারে উনার চাকরির বয়স পেরিয়ে গিয়েছিল। এখন উনি সংশোধিত এনআইডি জমা দিলে আমরা বিষয়টি আবার বিবেচনা করে দেখব যাতে চাকরি ফিরে পান।