নিজস্ব প্রতিবেদক
অপু ও রুম্মান ছিলো ব্যবসায়িক বন্ধু। তারা দু’জনে মিলে পিরোজপুরে সুপারি ব্যবসা করতেন। ব্যবসায়িক বন্ধুত্বের কারণে তাদের দুইজনের মধ্যেই বাড়িতে আসা-যাওয়া ছিল। রুম্মানের বোনের সঙ্গে অপুর পরকীয়া সম্পর্ক এবং ব্যবসার জন্য আর্থিক লেনদেন ছিল। বিষয়টি তার পরিবারের সদস্যরা মানতে পারেনি। তাই অপুকে খুন করার পরিকল্পনা নেয় রুম্মান ও তার পরিবার। পরিকল্পনা অনুযায়ী এক রাতে অপুকে দাওয়াত দিয়ে ঘরে আনে। রাতের খাওয়া-দাওয়া শেষে রুম্মনের মা-বোনসহ কয়েকজন মিলে গলায় রশি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় অপুকে। খুনের পর আত্মগোপনে যেতে এক বন্ধুর আশ্রয় নিয়ে রুম্মান প্রথমে যায় ঢাকায়, পরে তার এক বন্ধু মাসুম বিল্লাহর কাছে আশ্রয় নেন চট্টগ্রামে।
গতকাল রোববার সকালে খুনের পর আত্মগোপনে থাকা শেখ রুম্মান হোসেন (৩০) ও আশ্রয়দাতা মাসুম বিল্লাহকে গ্রেফতার করার বিষয়টি নিশ্চিত করেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (পশ্চিম) জসীম উদ্দিন।
তিনি বলেন, ‘পরিকল্পিতভাবে রুম্মান তার ব্যবসায়িক বন্ধু অপুকে হত্যা করে চট্টগ্রামে পলিয়ে আসে। পেশায় কাভার্ডভ্যান চালক মাসুম বন্ধু রুম্মানকে লুকিয়ে রাখার জন্য চট্টগ্রামে নিয়ে আসে। শনিবার (৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় হাজী ক্যাম্প এলাকায় পুলিশ দেখে পালানোর চেষ্টা করলে তাদের আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায় পিরোজপুরে মোবাইল চুরি করে তারা চট্টগ্রামে আত্মগোপন করেছে। পরে তাদের থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ ও পিরোজপুর জেলা পুলিশের সঙ্গে কথা বলে হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি জানা যায়।’
পুলিশ জানায়, ১ অক্টোবর পরিকল্পনা করে অপুকে হত্যা করার পর লাশ গুম করার জন্য রুম্মানের বাড়ির পেছনে খড়ের গাঁদার মধ্যে গর্ত করা হয়। পরে ৪ অক্টোবর রাতে তাকে খুন করে সে গর্তে পুঁতে রাখা হয়। শনিবার (৭ অক্টোবর) সকালে পিরোজপুর জেলার নেছারাবাদ উপজেলার সমেদয়কাঠি ইউনিয়নের দক্ষিণ শেহাংগল গ্রামের রুম্মানের বাড়ির পাশে খড়ের গাঁদা থেকে অপুর লাশ উদ্ধার করে পিরোজপুর জেলা পুলিশ।