সুপ্রভাত ডেস্ক »
দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২০২৩ সালের শুরুতে ছিলো প্রায় সাড়ে ৩ হাজার কোটি ডলার। বছর শেষে যা কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৬৯৯ কোটি ডলার। এর ফলে বছরজুড়ে ডলার সংকট প্রকট আকার ধারন করে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর ডলার সংকট আরও প্রকট আকার ধারন করে। এরপর থেকে রিজার্ভ থেকে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছে ডলার বিক্রি শুরু করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এরফলে রিজার্ভের ডলার ধারাবাহিকভাবে কমতে থাকে। খবর অর্থসূচক।
২০২৩ সালের শুরুতে ডলারের দাম বেড়ে ১০০ টাকা ছাড়ায়। এরপর ধারাবাহিকভাবে বাড়তে থাকে বিদেশি মুদ্রাটির দাম। বর্তমানে প্রবাসী আয় ও রপ্তানির জন্য ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা, আর আমদানিকারকদের জন্য ১১০ টাকা নির্ধারিত। তবে বেঁধে দেওয়া এই দামে ডলার মিলছে না বাজারে। এদিকে প্রবাসী আয় বাড়াতে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সরকারি প্রণোদনার পাশাপাশি ব্যাংকগুলো আড়াই শতাংশ প্রণোদনা দিয়েছিলো পারে। যদিও পরবর্তীতে ব্যাংকগুলো এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে। এরপরেও ২০২৩ সালে আশানুরুপ প্রবাসী আয় দেশে আনা সম্ভব হয়নি। বছরের জানুয়ারি- নভেম্বর পর্যন্ত সময়ে ১ হাজার ৯৯২ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে। এর আগের বছরের একই সময়ে এসেছিলো ১ হাজার ৯৫৮ কোটি ডলার। অর্থাৎ ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে প্রবাসী আয়ের পরিমাণ কিছুটা বেড়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বর্তমানে ডলার সংকটে অনেক ব্যবসায়ীরা ঋণপত্র খুলতে পারছে না। আমদানি দায় পরিশোধেও সমস্যা হচ্ছে। ধারাবাহিকভাবে ডলার বিক্রি করায় রিজার্ভ এখন ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় এসে ঠেকেছে।
ডলারের সংকট নিরসনে ভারতের সঙ্গে রুপিতে বিনিময় ব্যবস্থা চালু করে বাংলাদেশ ব্যাংক। যদিও এটি খুব একটা কাজে আসেনি। আবার কিছু ব্যাংক রেমিট্যান্সে চলমান আড়াই শতাংশ প্রণোদনার পাশাপাশি নিজেরা আরও আড়াই শতাংশ দেওয়ার ঘোষণা দেয়। পরে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে। এরপরেও বাড়াতে থাকে মার্কিন ডলারের দাম।