৮ হাজার পার হলো করোনা রোগী#
চলতি মাসের ২৮ দিনে ৫,০৫০ জন আক্রান্ত #
নিজস্ব প্রতিবেদক :
চলতি জুন মাসের ২৮ দিনে ৫ হাজার ৫০ জন করোনা শনাক্ত হয়েছে। গত ৩১ মে পর্যন্ত ৫৮ দিনে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৯৮৫ জন। আর সব মিলিয়ে ৮৬ দিন শেষে চট্টগ্রামে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৮ হাজার ৩৫ জনে গিয়ে ঠেকলো। রোববার (২৮ জুন) চট্টগ্রামের ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ, ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল, শেভরন ও কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে ৯৯৭টি নমুনার মধ্যে করোনা পজিটিভ হয়েছে ৩৪৬ জনের। এই ৩৪৬ জনের মধ্যে চট্টগ্রাম মহানগরীর ২৭৪ জন ও উপজেলার ৭২ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে মারা গেছে দুই জন। আর এতে চট্টগ্রামে এপর্যন্ত করোনায় মারা গেছেন ১৭১ জন ও সুস্থ হয়ে বাড়ি গেছেন ৯৬৫ জন।
রোববার একদিনে ৩৪৬ জন আক্রান্ত হওয়ার মধ্য দিয়ে একদিনের হিসেবে আগের রেকর্ড অতিক্রম করেছে। আগে একদিনে সর্বোচ্চ আক্রান্তের রেকর্ড ছিল ২৬৯ জন (১৩ জুন)। সেদিন সর্বোচ্চ শনাক্তে পাঁচ হাজার অতিক্রম করেছিল করোনা আক্রান্তের সংখ্যা।
সিভিল সার্জন থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুসারে জানা যায়, চট্টগ্রামের ফৌজদারহাট বিআইটিআইডিতে ১০১টি নমুনার মধ্যে ১৪টি করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে, এই ১৪ জনের মধ্যে ১২ জন মহানগরের এবং ২ জন উপজেলার বাসিন্দা। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৬৭টি নমুনার মধ্যে পজিটিভ পাওয়া গেছে ৫৬ জনের, এদের মধ্যে ২৫ জন নগরীর এবং ৩১ জন উপজেলার বাসিন্দা। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে ১১২টি নমুনার মধ্যে ৪৫ জনের করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে এবং এদের সকলে নগরীর বাসিন্দা। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৪৪টি নমুনার মধ্যে ২৬ জন পজিটিভ হয়েছে, এই ২৬ জনের মধ্যে ৩ জন মহানগরীর এবং ২৩ জন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা। ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ১১০টি নমুনার মধ্যে ২৪ জনের পজিটিভ পাওয়া গেছে, এদের মধ্যে ২৩ জন নগরীর এবং একজন উপজেলার বাসিন্দা। শেভরনের গত দুই দিনের ৫৬২টি নমুনার মধ্যে ১৭৭ জনের পজিটিভ পাওয়া গেছে, এরমধ্যে ১৬৬ জন মহানগরীর এবং ১১ জন উপজেলার বাসিন্দা। অপরদিকে কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে ১১টি নমুনার মধ্যে ৪ জনের পজিটিভ পাওয়া গেছে এবং এদের সকলে উপজেলার বাসিন্দা।
উপজেলাগুলোতে আক্রান্ত হওয়া ৭২ জনের মধ্যে লোহাগাড়ায় ১ জন, সাতকানিয়ায় ৫ জন, বাঁশখালীতে ৩ জন,আনোয়ারায় ৭ জন, চন্দনাইশে ৪ জন, পটিয়ায় ৫ জন, বোয়ালখালীতে ১ জন, রাঙ্গুনিয়ায় ১ জন, ফটিকছড়িতে ১৩ জন, হাটহাজারিতে ১৯ জন, সীতাকুন্ডে ১০ জন ও মিরসরাইয়ে ৩ জন রয়েছেন।
এদিকে গত রোববার নতুন করে ৩৪৬ জন করোনা শনাক্ত হওয়ায় মোট রোগীর সংখ্যা হলো ৮,০৩৫ জন। এর আগে ২৭ জুন ৬৪ জন, ২৬ জুন ১৫৯ জন, ২৫ জুন ২৪৬ জন, ২৪ জুন ২৪১ জন, ২৩ জুন ২৮০ জন, ২২ জুন ২১৭ জন, ২১ জুন ১৯২ জন, ২০ জুন ১৯৪ জন, ১৯ জুন ১৮৭ জন, ১৮ জুন ১৪৮ জন, ১৭ জুন ১৭৮ জন, ১৬ জুন ১৭৯ জন, ১৫ জুন ১৭১ জন, ১৪ জুন ১৫১ জন, ১৩ জুন ২৬৯ জন, ১২ জুন ২২২ জন, ১১ জুন ২০৭ জন, ১০ জুন ১০৮ জন, ৯ জুন ১১৩ জন, ৮ জুন ৯৯ জন, ৭ জুন ১০৬ জন, ৬ জুন ১৫৬ জন, ৫ জুন ১৪০ জন, ৪ জুন ১৩২ জন, ৩ জুন ১৪০ জন, ২ জুন ২০৬ জন, ১ জুন ২০৮ জন, ৩১ মে ১৬০ জন, ৩০ মে ২৩৭ জন, ২৯ মে ১৫৯ জন, ২৮ মে ২২৯ জন, ২৭ মে ২১৫ জন, ২৬ মে ৯৮ জন, ২৫ মে ১০৩ জন, ২৪ মে ৬৫ জন, ২৩ মে ১৬৬ জন, ২২ মে ১৬১ জন, ২১ মে ৯২ জন, ২০ মে ২৬০ জন, ১৯মে ১২৮ জন, ১৮মে ৫৪ জন, ১৭ মে ৭৩ জন, ১৬ মে ৭৫ জন, ১৫ মে ৬৮ জন, ১৪ মে শনাক্ত হয়েছিল ৬১ জন, ১৩ মে শনাক্ত হয়েছিল ৯৫ জন, ১২ মে ৭৫ জন, ১১ মে ৬৫ জন, ১০ মে ৪৮ জন, ৯ মে শনিবার ১৩ জন, মে শুক্রবার ১১ জন, ৭ মে বৃহস্পতিবার ভেটেরিনারিতে ৩৮ জন ও বিআইটিডিতে ১৯ জন ( কক্সবাজারে একজনসহ) করোনা শনাক্ত হওয়ায় একদিনে ৫৭ করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছিল চট্টগ্রামে। ৬ মে ১১ জন করোনা পজিটিভ হওয়ার আগে ৫ মে সোমবারের ভেটেরিনারি রিপোর্টের ১৩ জন, ৫ মে বিআইটিআইডি এর রিপোর্টে ৯ জন (ঢাকা, কুমিল্লা ও কক্সবাজার থেকে আসা তিনজন রোগী সহ), ৪মে ১৬ জন, ৩ মে ১৩ জন, ২ মে তিনজন, ১ মে তিনজন, ৩০ এপ্রিল একজন, ২৯ এপ্রিল ৪ জন, ২৮ এপ্রিল তিনজন, ২৭ এপ্রিল নয়জন, ২৬ এপ্রিল সাতজন (রাজবাড়ী থেকে আসে একজন), ২৫ এপ্রিল দুই জন ( ঢাকা থেকে আসে একজন), ২৪ এপ্রিল একজন, ২২ এপ্রিল তিনজন, ২১ এপ্রিল একজন, ১৩ এপ্রিল চারজন, ১৮ এপ্রিল একজন, ১৭ এপ্রিল একজন, ১৬ এপ্রিল একজন, ১৫ এপ্রিল পাঁচজন, ১৪ এপ্রিল ১১ জন, ১৩ এপ্রিল দুইজন, ১২ এপ্রিল পাঁচজন, ১১ এপ্রিল দুইজন, ১০ এপ্রিল দুই জন, ৭ এপ্রিল তিনজন, ৫ এপ্রিল একজন ও ৩ এপ্রিল একজন আক্রান্ত হয়েছিল।