সুপ্রভাত ডেস্ক :
দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে একদিনে আরও ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৫ হাজার ৫০০-তে। এসময় নতুন করে আরো আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন এক হাজার ২০৩ জন। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো তিন লাখ ৭৭ হাজার ৭৩-তে।
আজ শনিবার (১০ অক্টোম্বর) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে দেশের ১০৯টি পরীক্ষাগারের তথ্য তুলে ধরে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১০ হাজার ৬৭৩টি নমুনা সংগৃহীত হয়েছে। আগের কিছু নমুনাসহ পরীক্ষা করা হয়েছে ১০ হাজার ৮৫৯টি নমুনা। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হল ২০ লাখ ৬১ হাজার ৫২৮টি নমুনা।
একদিনে সুস্থ হয়ে উঠেছেন আরো এক হাজার ৪৫৩ জন রোগী। এ নিয়ে সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে দুই লাখ ৯১ হাজার ৩৬৫ জন হয়েছে।
গেল ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১১ দশমিক ০৮ শতাংশ, এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৮ দশমিক ২৯ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৭৭ দশমিক ২৭ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৬ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত ২৩ জনের মধ্যে পুরুষ ১৫ জন এবং নারী আটজন। এ পর্যন্ত মৃত ৫ হাজার ৫০০ জনের মধ্যে পুরুষ ৪ হাজার ২৩৭ জন; যা শতাংশের হিসাবে ৭৭ দশমিক ০৪ শতাংশ এবং নারী রয়েছেন ১২৬৩ জন; যা শতাংশের হিসাবে ২২ দশমিক ৯৬ শতাংশ।
মৃতদের বয়স বিভাজনে বলা হয়েছে, গেল ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সী রয়েছেন দুজন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের পাঁচজন এবং ষাটোর্ধ্ব বয়সের মারা গেছেন ১৬ জন।
গেল ২৪ ঘণ্টায় যারা মারা গেছেন তারা প্রত্যেকেই দেশের প্রধান দুই নগরী ঢাকা ও চট্টগ্রামের বাসিন্দা। এর মধ্যে ঢাকায় মারা গেছেন ১৯ জন এবং চট্টগ্রামে চারজন। এদের মধ্যে প্রত্যেকেই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
গত ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরে প্রথম আক্রান্ত শনাক্তের পর দ্রুত সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে নভেল করোনাভাইরাস। মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয় বিশ্বের অধিকাংশ এলাকা। বাংলাদেশে করোনাভাইরাস প্রথম শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। প্রথম মৃত্যুর খবর জানানো হয় ১৮ মার্চ।