নিজস্ব প্রতিবেদক »
গতকাল এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার প্রথম দিনে বৃষ্টির কারণে দুর্ভোগে পড়েন হাজার হাজার পরীক্ষার্থী। তাদের সঙ্গে আসা অভিভাবকরাও পড়েন বিড়ম্বনায়।
রোববার সকাল দশটা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত চলছে এইচএসসি পরীক্ষা। পরীক্ষার প্রথম দিনে যানজট হতে পারে এই আশঙ্কায় পরীক্ষার্থীদের নিয়ে অভিভাবকরা আগেভাগেই বাসা থেকে বের হন। অন্যদিকে পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে ৩০ মিনিট পূর্বে পরীক্ষার্থীদের অবশ্যই পরীক্ষার হলে প্রবেশ করারও নির্দেশনা রয়েছে। শনিবার রাত থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়। প্রথমদিনে কেন্দ্রে আসার সময় বৃষ্টির কবলে পড়েন পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা। কেউ ব্যক্তিগত যানবাহনে আসলেও বেশিরভাগ শিক্ষার্থী বাস, সিএনজি অটোরিকশা কিংবা রিকশায় করে কেন্দ্রে এসেছে। কিন্তু প্রবল বৃষ্টির কারণে গাড়ি থেকে নামতেই ভিজে যায় অনেকেই। ফলে অনেক শিক্ষার্থী ভেজা কাপড়ে পরীক্ষার হলে বসেন। পাশাপাশি কলেজগুলোর সামনে অপেক্ষা করতে থাকা অভিভাবকরাও বৃষ্টিতে ভিজে যায়।
চট্টগ্রাম সিটি কলেজের কেন্দ্রে আসা মনিষা দাশ নামের এক অভিভাবক বলেন, পাথরঘাটা থেকে রিকশায় এসে মেয়েকে হলে ঢুকিয়ে অপেক্ষা করছি। কোথাও দাঁড়াবো এমন কোন স্থান নেই। বৃষ্টিতে ভিজে একাকার হয়ে গেলাম। অনেক শিক্ষার্থী, অভিভাবকরা বেশ সমস্যায় পড়েছেন। কারণ কেন্দ্রের এখানে তো অনেক মানুষ।
চট্টগ্রাম কলেজে পরীক্ষা দিতে আসা শিক্ষার্থীর অভিভাবক সানোয়ারা আলম বলেন, বহদ্দারহাট থেকে সিএনজি করে কলেজে আসার পর। পরীক্ষার্থীকে রুমে ঢুকিয়ে দেয়ার পর অপেক্ষা করবো এমন কোন স্থান নেই। আশপাশে তেমন দোকানপাট নেই যে দাঁড়াবো। মেয়েকে রেখে বাসায় যাবো তেমন পরিস্থিতি নেই। তাই বৃষ্টিকে উপেক্ষা করেই অপেক্ষা করতে হচ্ছে।
এবার চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে এক লাখ ছয় হাজার ৩৪ জন শিক্ষার্থী। গত বছর ২০২৩ সালে পরীক্ষার্থী ছিলেন এক লাখ দুই হাজার ৪৬৮ জন। গত বছরের চেয়ে এবার পরীক্ষার্থী বেড়েছে প্রায় সাড়ে তিন হাজার। এবার ২৮৭টি কলেজ থেকে ১১৫টি কেন্দ্রে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।