সুপ্রভাত ডেস্ক »
দেশের উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা ব্যবস্থার মানোন্নয়নে এইচএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র প্রণয়ন (সেটার) ও পরিশোধন (মডারেটর) কার্যক্রমে শিক্ষকদের দক্ষতা বাড়াতে বিশেষ প্রশিক্ষণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড।
সেজন্য প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে অংশ নিতে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের আওতাধীন উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে বিষয়ভিত্তিক আগ্রহী ও যোগ্য শিক্ষকদের নামের তালিকা জরুরি ভিত্তিতে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (২৪ নভেম্বর) মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকার পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর এস এম কামাল উদ্দিন হায়দারের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির তত্ত্বাবধানে এবং মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকার বাংলাদেশ পরীক্ষা উন্নয়ন ইউনিট এই গুরুত্বপূর্ণ প্রশিক্ষণ কার্যক্রমটি পরিচালনা করবে। এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আওতায় মোট ২৩টি বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বিষয়গুলো হলো— বাংলা ১ম পত্র, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, জীববিজ্ঞান, ইতিহাস, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি, পৌরনীতি ও সুশাসন, সমাজবিজ্ঞান, সমাজকল্যাণ, ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা, হিসাববিজ্ঞান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, উচ্চতর গণিত, পরিসংখ্যান, কৃষি শিক্ষা, গার্হস্থ্য বিজ্ঞান, ভূগোল, মনোবিজ্ঞান, অর্থনীতি, যুক্তিবিদ্যা, ইসলাম শিক্ষা, ফিন্যান্স, ব্যাংকিং ও বিমা এবং উৎপাদন ব্যবস্থাপনা ও বিপণন।
এতে আরও বলা হয়েছে, প্রশিক্ষণের জন্য শিক্ষক মনোনয়নের ক্ষেত্রে বোর্ড কর্তৃপক্ষকে নির্দিষ্ট কিছু মানদণ্ড অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে। এক্ষেত্রে একজন শিক্ষককে এসএসসি থেকে স্নাতকোত্তর পর্যায়ে কমপক্ষে দুটি প্রথম বিভাগ/শ্রেণি/সমমানের জিপিএ/সিজিপিএ (এক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে) থাকতে হবে, সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পাঠদানে ন্যূনতম ৫ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে এবং কলেজের অভ্যন্তরীণ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র প্রণয়নের অভিজ্ঞতাও থাকতে হবে। একইসঙ্গে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকের ন্যূনতম ১০ বছর চাকরি অবশিষ্ট থাকতে হবে।
তবে যারা আগে ১২ দিনের সৃজনশীল প্রশ্নপত্র প্রণয়নের উপর প্রশিক্ষণ পেয়েছেন, তাদের এই প্রশিক্ষণের জন্য মনোনীত করা যাবে না বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।

















































