ঋতু পরিবর্তনজনিত কারণে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্কদের মধ্যে এ মাত্রা বেশি। বিশেষ করে সাধারণ ফ্লু ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে বেশিরভাগ মানুষ। এছাড়া শিশু ও বৃদ্ধদের মধ্যে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার হারও বাড়ছে। বৃদ্ধরা কাশির সাথে শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে হাসপাতালগুলোতে যাচ্ছেন।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের শিশু স্বাস্থ্য বিভাগে বর্তমানে ধারণ ক্ষমতার তিন গুণ বেশি রোগী ভর্তি রয়েছে। এর এক তৃতীয়াংশ আবার নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত রোগী। একইসাথে নিউমোনিয়া আক্রান্ত রোগী বাড়ছে চট্টগ্রাম মা শিশু ও জেনারেল হাসপাতালেও। অন্যদিকে চমেক হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডে বাড়ছে ঋতু পরিবর্তনজনিত রোগে আক্রান্তের হার।
চমেক হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডা. এএসএম জাহেদ গণমাধ্যমকে বলেন, প্রতি বছর শীত পুরোপুরি আসার আগে সর্দি, কাশি ও জ্বরের প্রকোপ বাড়ে। বয়স্করা এ সময় শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হতে পারে। চমেক হাসপাতালে মেডিসিন ওয়ার্ডে এই সময়ে রোগী ভর্তির হারও বেড়ে যায়।
শিশু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঋতু পরিবর্তনের কারণে শিশুরা নিউমোনিয়া, ব্রঙ্কিওলাইটিস ও অ্যাজমা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। আমাদের দেশে ৫ বছরের কম বয়সী শিশু মৃত্যুর প্রধান কারণ নিউমোনিয়া। সাধারণত যেসব শিশু কম ওজন নিয়ে জন্মগ্রহণ করে, তাদের নিউমোনিয়া বেশি হয়। এছাড়া প্রিম্যাচিউরড (সময়ের আগে জন্ম নেওয়া) শিশুদেরও নিউমোনিয়া বেশি হয়। ভিটামিন ‘এ’ ঘাটতিজনিত কারণেও নিউমোনিয়া হয়। এখন নিউমোনিয়া প্রতিরোধ করতে হলে গর্ভকালীন ও প্রসব পরবর্তী কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। বিশেষ করে গর্ভকালীন মায়ের পুষ্টি নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া স্বল্প বিরতিতে সন্তান জন্ম দিলেও সেই সন্তানের ওজন কম হতে পারে।
নগরের বায়ুদূষণ একটি বড় সমস্যা। বায়ুদূষণের কারণেও এ ধরনের রোগবালাই বেশি হয়। একেতো শুষ্ক মৌসুম তার ওপর আছে নগরে ধুলোবালির যন্ত্রণা। এদিকে নজর না দিলে নাগরিকদের ভোগান্তি কখনও কমবে না।




















































