নিজস্ব প্রতিবেদক »
ঋণের টাকা বইতে না পেরে মো. বাবু (৪৪) নামের একব্যক্তি আত্মহত্যা করেছেন। গতকাল শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টায় নগরীর লালখানবাজার মতিঝর্না এলাকার ৪ নম্বর গলিতে এ ঘটনা ঘটে।
বাবু পাবনার বাসিন্দা মো. খলিলের ছেলে। তিনি চট্টগ্রামে একটি কাঠের কারখানার কর্মচারী ছিলেন।
বাবুর এক সহকর্মী শফিক সুপ্রভাতকে বলেন, ‘বাবু অনেক বছর প্রবাস জীবন কাটিয়েছেন। এরপর সেখান থেকে এসে তিনি রাজধানীর গাজীপুরে একটি কাঠের কারখানা দেন। সেই কারখানা চালাতে গিয়ে তিনি বিভিন্নভাবে ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েন। প্রায় ২৫ লাখ টাকা দেনা রয়েছে তার। তিনিও অনেকের কাছ থেকে টাকা পেতেন। কিন্তু তার লিখিত কোন হিসেব না থাকায় তিনি এসব টাকা আদায় করতে পারছিলেন না। পাবনা তার বাড়ি হলেও সেখান থেকে সব বিক্রি করে দিয়ে গাজীপুরে শ্বশুর বাড়িতে উঠেন তিনি। গত ঈদের সময় গাজীপুরের বাসায় এসে তিনি এসব বিষয়ে আমার সাথে আলোচনা করেন। আমার কাছে কিছু টাকাও ধার চান। কিন্তু আমার কাছে না থাকায় কোন ধরনের সহযোগিতা করতে পারিনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘সে সময় তার জন্য একটি চট্টগ্রামের বাসের টিকেট কেটে দিতে বলেছিলেন। তাই করেছি। চট্টগ্রামে যাওয়ার পর থেকে তার সাথে কোন ধরনের যোগাযোগ ছিল না। যে নম্বর ব্যবহার করতেন সেটিও বন্ধ করে রেখেছেন। আজ (শুক্রবার) জানতে পারলাম বাবু আত্মহত্যা করেছেন।’
পাঁচলাইশ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সাদিকুর রহমান বলেন, ‘শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে গলায় ফাঁস দেওয়া একব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এসময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ফরেনসিক মর্গে রাখা হয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে তার মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’


















































