সুপ্রভাত ডেস্ক রিপোর্ট »
পহেলা বৈশাখ, নতুন বাংলা বর্ষ ১৪৩১। আনন্দ-উৎসবের মধ্য দিয়ে নতুন বাংলা বছরকে বরণ করে নেয়া হবে।
ঈদের আমেজ শেষ না হতেই এলো বাংলা নববর্ষ। ঈদের আমেজের সঙ্গে নববর্ষের উৎসবে রঙিন হয়ে উঠবে চট্টগ্রাম। মানুষের প্রাণের উচ্ছ্বাসে জমে উঠবে চট্টগ্রামের ডিসি হিল, সিআরবি, শিল্পকলা একাডেমি ও চারুকলা ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণ।
চট্টগ্রাম নগরে প্রধান উৎসব হয় ডিসি পাহাড়ের পাদদেশে। ডিসি পাহাড় চট্টগ্রামের মানুষের প্রিয় একটি জায়গা। নন্দনকাননে এ জায়গাটিতে ১৯৭৮ সাল থেকে সম্মিলিতভাবে পহেলা বৈশাখ উদ্যাপিত হয়ে আসছে।
প্রতি বছরের মতো সিআরবিতে শুরু হয়েছে বর্ষবিদায় ও বর্ষবরণ অনুষ্ঠান। রোববার সকালে মঙ্গল শোবাযাত্রা বের হবে চারুকলা ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণ থেকে।
শুধু চট্টগ্রাম নয়, পহেলা বৈশাখ ও চৈত্রসংক্রান্তির সময়ে রাঙামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি ও কক্সবাজারে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মনমাতানো উৎসব বৈসাবি—বৈসু, বিজু ও সাংগ্রাইকে ঘিরে।
প্রতিবছর পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত ১১টি সম্প্রদায়ের মধ্যে বম, পাংখোয়া ও লুসাই তিনটি সম্প্রদায় ছাড়া অন্যান্য সম্প্রদায়ের লোকজন ভিন্ন ভিন্ন নামে বর্ষবরণ উৎসব পালন করে থাকেন।
পুরাতন বছরকে বিদায় ও নতুন বছরকে বরণের পার্বত্য চট্টগ্রামে ত্রিপুরা ভাষায় বৈসু, মারমা ভাষায় সাংগ্রাই এবং চাকমা-তঞ্চঙ্গ্যা ভাষা বিঝু-বিষুকে একসঙ্গে ‘বৈসাবি’ বলা হয়।
এদিকে বর্মী পঞ্জিকা অনুসরণকারী চাক সম্প্রদায়ের জনগোষ্ঠীরা সাংগ্রাই, ম্রোরা চাংক্রান, খিয়াংরা সাংলান ও খুমীরা সাংক্রাই নামে বর্ষবরণ উৎসব পালন করছে।
তারাও নানা রকমের ফুলে ফুলে সাজিয়ে তোলে ঘরদোর। নানান আনুষ্ঠানিকতায় বরণ করে নেয় নতুন বছরকে।
নদীতে ফুল ভাসানোর মধ্যদিয়ে শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রামে চাকমাদের বিঝু, তঞ্চঙ্গ্যাদের বিষু উৎসব এবং ত্রিপুরাদের বৈসু উৎসব।
চাকমা ও তঞ্চঙ্গ্যা সম্প্রদায়ের জনগোষ্ঠীরা ফুল ভাসানোর দিন পালন করেন ফুল বিঝু, দ্বিতীয় দিন পালন করে মুল বিঝু এবং শেষের দিন পালন করা হয় গইজ্যা পইজ্যা।
উৎসবের সময় তারা পাচন নামে এক ধরণের খাবার রান্না করেন; যেগুলোতে থাকে হরেক রকম মিশ্রিত সবজি। এ ছাড়া উৎসবের দিনে বেড়াতে আসা অতিথিদের পরিবেশন করা হয় এই খাবার।