নিজস্ব প্রতিনিধি, উখিয়া :
উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আইসোলেশন সেন্টার থেকে পালিয়ে গিয়েছে দুই রোহিঙ্গা। গত ১৪ মে প্রথম একজন রোহিঙ্গা কোভিড-১৯ পজিটিভ শনাক্ত হন। ফলে রোহিঙ্গা শিবিরে অনেক মানুষের জ্বর, সর্দি-কাশি দেখা দিলেও তারা ভয়ে প্রকাশ করছে না। আবার অনেকের করোনার উপসর্গ দেখা দিলেও প্রকাশ না করে দোকান থেকে ওষুধ কিনে সেবন করছেন গোপনে। করোনায় আক্রান্ত রোহিঙ্গা আইশোলেশন সেন্টার থেকে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা নিয়ে ক্যাম্পে আতংক ছড়িয়ে পড়েছে।
উখিয়ার ক্যাম্প-২ এর রোহিঙ্গা নেতা মো. নূর বলেন, ‘তার ক্যাম্পের করোনা আক্রান্তএক যুবক আইসোলেশন সেন্টার থেকে পালিয়ে গেছে। তাকে খোজা হচ্ছে। সে হয়তো ক্যাম্পে লুকিয়ে রয়েছে। ক্যাম্প-১ এর আরও একজন করোনা আক্রান্তরোগীর খোঁজ মিলছে না বলে স্বীকার করে তিনি বলেন, এ দুইজন করোনা রোগীকে উদ্ধার করে প্রশাসনের হাতে সোপর্দ করার জন্য খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে।
ক্যাম্পে করোনা উপসর্গ দেখা দিলে রোহিঙ্গাদের পরীক্ষার জন্য স্বাস্থ্যকেন্দ্র মুখি করতে বিভিন্নভাবে সচেতন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) কার্যালয়ের প্রধান স্বাস্থ্য সমন্বয়কারী ডা. আবু তোহা এম আর এইচ ভূঁইয়া। তিনি বলেন, এ পর্যন্ত৩৬৬ জন রোহিঙ্গা করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। তার মধ্যে ২৯ জন করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে। তাদের ‘আইসোলেশন সেন্টার’ চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তবে সেখানে পালিয়ে যাওয়া দুই রোগী ঘরে রয়েছে, তাদের ফেরত আনা হবে। এখন পর্যন্ত করেনা আক্রান্ত হয়ে ৭১ বছরের এক বৃদ্ধ রোহিঙ্গা মারা গেছেন। তিনি আরও বলেন, রোহিঙ্গা করোনা আক্রান্তদের সংস্পর্শে আসা ৭৫০ জনকে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। এরমধ্যে ৬১৮ জনের কোয়ারেন্টিনের সময়সীমা শেষ হয়েছে। এখন পর্যন্ত৩৬’শ পরিবারের ১৬ হাজার মানুষ ক্যাম্পে লকডাউনে রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, ক্যাম্পের অনেক রোহিঙ্গার জ্বর, সর্দি-কাশি দেখা দিলেও তারা ভয়ে প্রকাশ করছে না। অনেকে মনে করছে করোনা শনাক্ত হলে তাদের ভাসানচরে নিয়ে যাওয়া হবে এবং পরিবার থেকে আলাদা করে হাসপাতালে নির্জন জায়গায় রাখা হবে। আমরা ক্যাম্পে করোনা রোধে বিভিন্নভাবে সচেতনতা চালিয়ে যাচ্ছি আর রোহিঙ্গাদের স্বাস্থ্যকেন্দ্রমুখি করতে তাদের বোঝানো হচ্ছে।