সিইপিজেড এবং কেইপিজেডে আইসোলেশন সেন্টার এবং করোনা পরীক্ষাগার চালু করতে মহাব্যবস্থাপকদের নিকট আহবান জানিয়েছেন নাগরিক উদ্যোগের প্রধান উপদেষ্টা ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন।
তিনি আজ ৯ জুন (মঙ্গলবার) সকালে সিইপিজেড এবং কেইপিজেড এর মহাব্যবস্থাপকদের সাথে টেলিফোনে আলোচনায় এ আহ্বান জানান।
এ সময় সুজন বলেন, করোনা ভাইরাস সংক্রমণে অর্থনৈতিক আঘাত থেকে বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের প্রধান খাত তৈরি পোশাক শিল্পের শ্রমিকদের বাঁচাতে সর্বপ্রথম গার্মেন্টস সেক্টরে পাঁচ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনার ঘোষণা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী এ সিদ্ধান্তে দেশের রপ্তানিমুখী শিল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট মালিক এবং শ্রমিকসহ সকলের মাঝে স্বস্তি নেমে এসেছে। পরবর্তীতে সরকার দেশের রপ্তানি বাণিজ্য স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ইপিজেডসমূহ চালু করার নির্দেশনা প্রদান করেছে। কিন্তু অত্যন্ত উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানেই স্বাস্থ্যবিধি না মেনে কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। এছাড়া সামাজিক দূরত্বও পুরোপুরি উপেক্ষিত হচ্ছে। এতে দেশের অর্থনৈতিক বাণিজ্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ খাত ইপিজেডসমূহে করোনা সংক্রমণ উচ্চ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। তাছাড়া কোনো প্রতিষ্ঠানের কর্মী অসুস্থ হলে তাকে বাধ্যতামূলকভাবে বাড়িতে অবস্থানের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। অথচ একজন গার্মেন্টস কর্মী যে পরিবেশে দিনাতিপাত করে তার এ পরিস্থিতিতে বাড়িতে অবস্থান করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। তারপরও তাকে নিরুপায় হয়ে প্রতিষ্ঠানের নির্দেশনা মানতে হচ্ছে। ফলে দেখা যাচ্ছে যে ঐ গার্মেন্টস কর্মীর পরিবারসহ এলাকাবাসীরও সংক্রমিত হওয়ার আশংকা থেকে যাচ্ছে। বিশেষ করে নগরীর গার্মেন্টস অধ্যুষিত এলাকাসমূহ যেমন ৩৭, ৩৮, ৩৯, ৪০ এবং ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের প্রায় বাসা বাড়িতে জ্বর, সর্দি, কাশিসহ বিভিন্ন রোগের উপসর্গ দেখা দিচ্ছে। এতে করে ঐ সকল এলাকার অধিবাসীদের মাঝেও উদ্বেগ উৎকন্ঠা ছড়িয়ে পড়ছে।
তিনি আরো বলেন, বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান নানারকম সামাজিক দায়িত্ব পালন করলেও গার্মেন্টস মালিকরা তা করে নাই।
তিনি অবিলম্বে গার্মেন্টস কর্মীদের জন্য নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় আইসোলেশন সেন্টার এবং করোনা পরীক্ষাগার চালু করার উদাত্ত আহ্বান জানান। এছাড়া কোনো গার্মেন্টস কর্মী আইসোলেশন থাকা অবস্থায় কোম্পানি প্রদত্ত বেতন-ভাতা থেকে যেন বঞ্চিত না হয় সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখার জন্য সিইপিজেড এবং কেইপিজেড’র মহাব্যবস্থাপকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
তিনি কেইপিজেডে অবস্থিত নারী উন্নয়ন কেন্দ্রটি আইসোলেশন সেন্টার হিসেবে প্রস্তুত করা যেতে পারে বলেও মত প্রকাশ করেন।
এছাড়া যদি কর্তৃপক্ষ দ্রুততার সাথে উপরোক্ত বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে ব্যর্থ হন তাহলে দেশের বৃহত্তম রপ্তানি কেন্দ্র সচল এবং নিরাপদ রাখার স্বার্থে নগরবাসীকে সাথে নিয়ে ইপিজেডসমূহে অবস্থান নিতে বাধ্য হবেন বলেও জানান তিনি।
সিইপিজেড’র মহাব্যবস্থাপক মো. খুরশিদ আলম এবং কেইপিজেড’র মহাব্যবস্থাপক মসিউদ্দিন বিন মেজবাহ সুজনের প্রস্তাবনায় সহমত পোষণ করেন। এছাড়া গার্মেন্টস খাতকে নিরাপদ রাখতে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় আইসোলেশন সেন্টার চালুর উপরও গুরুত্ব আরোপ করেন। তারা প্রস্তাবনাসমূহ লিখিত আকারে বেপজা কর্তৃপক্ষের নিকট উপস্থাপন করবেন বলে অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। বিজ্ঞপ্তি
মহানগর