সিইপিজেড এবং কেইপিজেডে আইসোলেশন সেন্টার স্থাপনের অনুমোদন প্রদান করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন নাগরিক উদ্যোগের প্রধান উপদেষ্টা ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন।
তিনি আজ ২৩ জুন (মঙ্গলবার) এ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
এ সময় তিনি বলেন, দেশের রপ্তানি আয়ের প্রধানতম খাত গার্মেন্টস শিল্প তথা সিইপিজেড এবং কেইপিজেডে কর্মরত লাখো শ্রমিক কর্মচারীর স্বাস্থ্য ঝুঁকির কথা চিন্তা করে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় আইসোলেশন সেন্টার এবং করোনা পরীক্ষাগার চালু করার জন্য গত ৯ জুন সিইপিজেড এবং কেইপিজেড এর মহাব্যবস্থাপকদের সাথে টেলিফোনে আলোচনা করে অনুরোধ জানিয়েছিলাম। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৬ জুন ইপিজেডসমূহে আইসোলেশন সেন্টার এবং করোনা পরীক্ষাগার চালু করার সহযোগিতা প্রদানে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউসের সাথে ফোনালাপ হলে তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার আশ্বাস দেন।
সুজন এক বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, সিইপিজেড’র মহাব্যবস্থাপক মো. খুরশিদ আলম এবং কেইপিজেড’র মহাব্যবস্থাপক মসিউদ্দিন বিন মেজবাহসহ সকল কর্মকতাকে আন্তরিক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। তিনি ইপিজেড কর্তৃপক্ষকে সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে আলোচনা করে দ্রুততার সাথে আইসোলেশন সেন্টার স্থাপনের মাধ্যমে রোগী ভর্তির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানান।
তিনি আরো বলেন, হলি ক্রিসেন্ট হাসপাতালটি চট্টগ্রামের কতিপয় সিন্ডিকেটের একটি ভাগাড় মাত্র। শুধুমাত্র বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউ রক্ষার জন্য বিদ্যুৎ ও পানির সংযোগবিহীন পরিত্যক্ত হাসপাতালটিকে করোনা রোগীদের জন্য উপযোগী করে গড়ে তোলার চেষ্টা করে সিন্ডিকেটটি। পরিশেষে সে চেষ্টা সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হয়। তাদের কারণে অনেকেই বিনা চিকিৎসায় নির্মমভাবে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছে। অথচ আমরা বার বার দাবি জানিয়েছিলাম ঐ পরিত্যক্ত হাসপাতালটিতে কোনোভাবেই করোনা চিকিৎসা সম্ভব নয়।
তিনি অবিলম্বে ঐ হাসপাতালটি বন্ধ করে যাবতীয় চিকিৎসা সরঞ্জামাদি কোভিড চিকিৎসায় সক্ষম কোনো হাসপাতালে স্থানান্তর করে মানুষের জীবন রক্ষায় সহযোগিতা করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি অনুরোধ জানান।
সুজন বলেন, চট্টগ্রামে বর্তমানে সবচেয়ে বড়ো সংকট হচ্ছে করোনা ভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা। নমুনা দিয়ে সর্বোচ্চ ১৮ থেকে ২০ দিন পার হওয়ার পর রিপোর্ট পাওয়া যাচ্ছে না। প্রতিদিন সংগ্রহ করা নমুনার একটি উল্লেখযোগ্য অংশ পরীক্ষাবিহীন অবস্থায় ফেলে রাখা হচ্ছে। এতে করে পরীক্ষাগারে নমুনার জট সৃষ্টি হচ্ছে আবার অনেক নমুনা নষ্টও হয়ে যাচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে নমুনা হারিয়ে যাওয়ার মতো অভিযোগও পাওয়া যাচ্ছে। চট্টগ্রামে বর্তমানে সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে মাত্র পাঁচটি ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে, যা চট্টগ্রামের তুলনায় নিতান্তই অপ্রতুল। সরকার দুইটি বেসরকারি হাসপাতালে নমুনা পরীক্ষার অনুমোদন প্রদান করলেও শুধুমাত্র ইমপেরিয়াল হাসপাতাল নমুনা পরীক্ষা করছে। অন্যদিকে শেভরণ হাসপাতাল অনুমতি পাওয়ার দীর্ঘ এক মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো নমুনা পরীক্ষা শুরু করতে পারেনি। অথচ বিচ্ছিন্নভাবে নমুনা সংগ্রহের বুথ স্থাপন করা হচ্ছে নগরজুড়ে। এতে করে নমুনা সংগ্রহের অন্যতম উপাদান কিটেরও অপচয় হচ্ছে।
এ অবস্থা চলতে থাকলে ভবিষ্যতে চট্টগ্রামে নমুনাজট আরও বাড়বে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য নগরীতে পিসিআর ল্যাব স্থাপনে বিনীত আহবান জানান তিনি ধনাঢ্য ব্যবসায়ীদের প্রতি।
সুজন দেশের প্রতিটি ইপিজেডসহ গার্মেন্টস শিল্পাঞ্চলে বিজিএমইএ’র উদ্যোগে তাদের শ্রমিক-কর্মচারীদের করোনার নমুনা পরীক্ষার পিসিআর ল্যাব এবং ৫০০ শয্যাবিশিষ্ট আইসোলেশন সেন্টার স্থাপনের দাবি জানান। বিজ্ঞপ্তি
মহানগর