সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক »
প্রথম দুই টেস্টে হেরে ইংল্যান্ডের কাছে আগেই সিরিজ হেরে বসলেও শ্রীলংকার সামনে ছিল হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর সুযোগ। প্রথম ইনিংসে ৫২ রান পিছিয়ে থেকেও বোলারদের দাপটে সফরকারীরা ওভাল টেস্টে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায়। পাথুম নিশাংকার ব্যাটিং দৃঢ়তায় চার দিনেই ম্যাচ ৮ উইকেটে জিতেছে লঙ্কানরা। তিন ম্যাচ সিরিজ ২-১ ব্যবধানে হারলেও টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট টেবিলের পাঁচ নম্বরে উঠেছে শ্রীলংকা।
টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামা ইংল্যান্ড অলি পোপের ১৫৪ ও বেন ডাকেটের ৮৬ রানের ইনিংসে ভর করে ৩২৫ রান তোলে। এরপর প্রথম ইনিংসে ওপেনার নিশাংকার ৬৪, অধিনায়ক ধনঞ্জয়া ডি সিলভার ৬৯ ও কামিন্দু মেন্ডিস ৬৪ রান করলেও ২৬৩ রানে থামে শ্রীলংকা। দ্বিতীয় ইনিংসে জেমি স্মিথের ব্যাটে ৬৭ রান এলেও বাকিদের ব্যর্থতায় ১৫৬ রানেই ইংলিশরা গুটিয়ে যায়। ২১৯ রানের জয়ের লক্ষ্যে নামা লঙ্কানরা ২ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায়।
প্রথম ইনিংসের পর আবারো ব্যাট হাতে জ্বলে ওঠেন ম্যাচসেরা নিশাংকা। ওয়ানডে মেজাজে খেলে ১২৪ বলে ১৩ চার ও ২ ছক্কায় ১২৭ রানে অপরাজিত থাকেন। এছাড়া কুশল মেন্ডিস ৩৯ ও অ্যাঞ্জোলো ম্যাথিউজ ৩২ রানে অপরাজিত থাকেন।
সিরিজসেরার পুরস্কার অবধারিতভাবেই পেয়েছেন জো রুট। ধারাবাহিক ফর্মে থাকা এই ইংলিশ তিন টেস্ট সিরিজে করেছেন ৩৭৫ রান, বল হাতে নেন একটি উইকেট।
এ জয়ের ফলে দুই ধাপ উপরে উঠে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পাঁচ নম্বরে শ্রীলংকা। দলটি ৭ ম্যাচে ৩ জয়ে ৩৬ পয়েন্টসহ শতকরা ৪২.৮৬ শতাংশ পয়েন্ট পেয়েছে। এক ধাপ করে নিচে নেমেছে ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকা। ১৬ ম্যাচে ৮ জয় ও এক ড্রয়ে পাঁচে নামা ছয় নম্বরে থাকা ইংলিশরা ৮১ পয়েন্ট পেয়েছে। তাদের শতকরা পয়েন্ট ৪২.১৯। ছয় ম্যাচে ২ জয় ও এক ড্রয়ে সপ্তম স্থানে যাওয়া প্রোটিয়ারা ২৮ পয়েন্ট পেয়েছে। তাদের শতকরা পয়েন্ট ৩৮.৮৯।
পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করে ২-০ ব্যবধানে ঐতিহাসিক টেস্ট সিরিজ জয়ের পর আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়ন্সশিপে আগেই দুই ধাপ এগিয়ে টেবিলের চতুর্থ স্থানে উঠেছে বাংলাদেশ। রাওয়ালপিন্ডি দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথমটিতে ১০ উইকেটের বিশাল জয়ের পর একই ভেন্যুতে দ্বিতীয় টেস্টে ৬ উইকেটে জিতে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে ২০২৩-২৫ চক্রে ৬ খেলায় ৩ জয়ে বাংলাদেশের পয়েন্ট ৩৩। শতকরা ৪৫.৮৩ শতাংশ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চারে টিম টাইগার্স।
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে ২০২৩-২৫ চক্রে সবার উপরে আছে ভারত। হিসাব অনুযায়ী, টিম ইন্ডিয়ার শতকরা পয়েন্ট ৬৮.৫২ শতাংশ। নয় খেলায় ৬ জয় ও এক ড্রয়ে তাদের পয়েন্ট ৭৪। আসরের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া ১২ ম্যাচে ৮ জয় ও এক ড্রয়ে ঝুলিতে ভরেছে ৯০ পয়েন্ট। শতকরা ৬২.৫০ শতাংশ পয়েন্ট পেয়েছে অজিরা। ৬ ম্যাচে ৩ জয়ে মোট ৩৬ ও শতকরা ৫০ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে নিউজিল্যান্ড।
টাইগারদের কাছে হোয়াইটওয়াশ হওয়া পাকিস্তান শতকরা (৩০.৫৬) পয়েন্ট নিয়ে আগের আট নম্বর স্থানেই রয়েছে। দলটি ৭ খেলায় ২ জয়ে পেয়েছে ১৬ পয়েন্ট। টেবিলের তলানিতে থাকা ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৯ খেলায় এক জয় ও ২ ড্রয়ে ২০ পয়েন্ট পেয়েছে। ক্যাবিরীয়রা শতকরা ১৮.৫২ পয়েন্টের বেশি পায়নি।