নিজস্ব প্রতিবেদক »
বিএনপি নেতা মীর নাছির ও তার পুত্র মীর হেলালের মধ্যকার দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসে তাদের সম্পত্তির বিরোধে। ডালিয়া নুসরাত মেমোরিয়াল টাওয়ারের মীর হেলাল পিতার বিরুদ্ধে গালাগালসহ ভবনটির কেয়ারটেকার মো. নাছির উদ্দীনকে হুমকি-ধমকি দেওয়ার কথা জানা যায় হাটহাজারী থানায় করা একটি মামলায়। ভবনটির কেয়ারটেকার মামলাটি করলেও মীর নাছির এ ঘটনা মিথ্যে বলে এটি চিঠি থানায় দেওয়ার কথা জানায়। তবে কোনো চিঠি না পাওয়ায় তদন্ত বহাল রেখে আসামি মীর হেলালসহ তার অনুসারীদের খুঁজছে পুলিশ।
গতকাল সোমবার হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘শনিবার (২২ জুলাই) ডালিয়া নুসরাত মেমোরিয়াল টাওয়ারের দ্বন্দ্ব নিয়ে মীর নাছিরের পুত্র মীর হেলালসহ আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে ভবনটির কেয়ারটেকার বাদি হয়ে একটি মামলা করেন। আমরা মামলাটি তদন্ত করছি। পাশাপাশি আসামিকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি।’
অন্যদিকে মীর নাছির মামলার বিষয়টি মিথ্যা বলে থানায় একটি চিঠি পাঠানোর কথা উল্লেখ করেন। সেখানে লেখা হয়েছে, ‘আমি এ মামলার বিষয়ে কিছুই জানি না। আমার ছেলের বিরুদ্ধে আমি মামলা করবো, তা কল্পনাতীত। আমার ছেলেকে ফিজিক্যালি ভিকটিম করার জন্য এই ধরণের ষড়যন্ত্রমূলক মামলা করা হয়েছে। অত্র চিঠি পাওয়ার সাথে সাথে আমার ছেলেকে তথাকথিত মামলা থেকে বাদ দেওয়া হউক। আমার বাসার কর্মচারী ইছলাম এ ব্যাপারে কিছুই জানে না।’
তবে এ চিঠি হাটহাজারী থানা পুলিশ এখনও পায়নি বলে জানিয়েছেন থানার ওসি মনিরুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে মীর নাছির বা তার পক্ষ থেকে কোনো যোগাযোগ করা হয়নি। মামলা যেহেতু এখনো বহাল আছে, তাই তদন্তও চলছে।’
প্রসঙ্গত, মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, মীর হেলালসহ তরিকুল ইসলাম ত্বকি, জিএম সাইফুল, মনিরুল ইসলাম জনি, মো. সাহেদ, গিয়াস উদ্দিন, সাইফুল, এমরান শিকদার, মিজানের নামে পেনাল কোর্টের ১৪৩, ৪৪৮, ৩৮৫, ৫০৬ (২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। কেননা তারা ভবনটির মালিক মীর নাছির শান্তিপূর্ণভাবে দখল করতে চাইলেও মীর হেলাল ও তার অনুসারীরা মামলার বাদি মোহাম্মদ নাছির উদ্দীনকে হুমকি-ধমকি করেছে। এক পর্যায়ে মীর নাছির একটি হাসপাতালকে ভাড়া দিলে মীর হেলাল ও তার অনুসারীরা ২০ জুলাই রাত আনুমানিক ৮টায় ২৫ লাখ টাকা না দিয়ে কেন তালা খুলেছে জানতে চেয়ে কেয়ারটেকার মো. নাছির উদ্দীন ও মালিক অর্থাৎ মীর হেলালের বাবা মীর নাছিরকে গালাগাল করেন।