নিজস্ব প্রতিনিধি, হাটহাজারী »
র্যাব পরিচয় দিয়ে মামলা থেকে বাঁচানোর কথা বলে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে (নকল র্যাব) ৬ প্রতারককে গ্রেফতার করেছে র্যাব ৭। এসময় তাদের কাছ থেকে প্রতারণা করে নেওয়া ৭০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
গতকাল শনিবার দুপুরে র্যাব ৭ এর পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। এরআগে বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ৩টায় নগরীর বায়েজিদ থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদের আটক করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলো মো. রুবেল হোসেন, মো. মানিক হোসেন (৩৮), মো. নজরুল ইসলাম (৪৫), মো. মিজানুর রহমান (৩৪), মো. নীরব (২১) ও আবু তৈয়ব সিদ্দিকী (৪৮)।
বিবৃতিতে র্যাব জানায়, ভুক্তভোগীর স্বামী মো. ইদ্রিস পাটোয়ারীর (৫৫) নামে জাল দলিল স্ট্যাম্প মজুত এবং বিক্রয়ের দায়ে ডাবলমুরিং থানায় একটি মামলা হয়। ২৬ জুন রুবেল নিজেকে ক্যাম্প কমান্ডারের ড্রাইভার এবং র্যাব সদস্য পরিচয় দিয়ে ভুক্তভোগীর স্বামীকে ছাড়ানোর নামে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করে। পরে ভুক্তভোগী পাঁচটি বিকাশের মাধ্যমে ৭০ হাজার টাকা পাঠায়। কিন্তু গত ২৭ জুন ভুক্তভোগীর স্বামী বাসায় না ফেরায় ডাবলমুরিং থানা এবং র্যাব-৭, সিপিসি-২ ও হাটহাজারী ক্যাম্পে খবর নিয়ে জানতে পারে যে, তার স্বামীর নামে জাল দলিল স্ট্যাম্প মজুত এবং বিক্রয়ের দায়ে ডাবলমুরিং থানায় একটি মামলা হয়েছে। তখন ইদ্রিসের স্ত্রী প্রতারক রুবেলের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে সে বিভিন্ন প্রকার তাল বাহানা করতে থাকে।
র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নুরুল আফছার বলেন, মো. রুবেল হোসেন একজন সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য। সে তার সহযোগীদের নিয়ে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন লোকের কাছে আইনশৃংখলা রক্ষা বাহিনী বা র্যাব সদস্য হিসেবে মিথ্যা পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন কাজ করে দেয়ার নাম করে বিভিন্ন অযুহাতে সাধারণ মানুষের নিকট থেকে মোটা অংকের টাকা আদায় করে থাকে।
তিনি আরও বলেন, রুবেল তার সহযোগীদের নিয়ে ইদ্রিসকে র্যাবের কাছ থেকে ছাড়িয়ে দেয়ার নামে প্রতারণা করে ৭০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এদের মধ্যে মো. মানিক হোসেনের নামে নগরের খুলশী থানায় মাদকদ্রব্য আইনে মামলা রয়েছে। সে একজন পলাতক আসামি। জিজ্ঞাসাবাদে তারা তাদের অপরাধের কথা স্বীকার করেছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বায়েজিদ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।