সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক »
দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে বুধবার রাতে খুলনা টাইগার্সকে শেষ বলের নাটকীয়তায় হারিয়েছে চিটাগাং কিংস। ব্যাটে-বলে পারফর্ম করে কিংসদের ফাইনালের টিকিট এনে দিতে বড় অবদান রেখেছেন আলিস আল ইসলাম। বিশেষ করে ব্যাট হাতে তার অবদান ছিল মহাগুরুত্বপূর্ণ। শেষ ওভারের জয়ের জন্য চিটাগাং কিংসের প্রয়োজন ছিল ১৫ রান। মুশফিক হাসানের করা ওভারের প্রথম বলে চার মেরে কিংস ভক্তদের স্বপ্ন দেখান আরাফাত সানি। তৃতীয় বলে আলিস রিয়ার্ড হয়ে ওঠে গেলে উইকেটে এসে প্রথম বলেই বাউন্ডারি হাঁকান শরিফুল। তবে পরের বলেই আউট হয়ে যান তিনি। ফলে আবারো মাঠে নামেন আলিস। শেষ বলে সমীকরণ দাঁড়ায় চার রানে। তখন মুশফিকের অফ স্টাম্পের বাইরের বলকে ডিপ এক্সট্রা কভার দিয়ে চার মেরে সেই সমীকরণ মিলিয়েছেন আলিস। সব মিলিয়ে ৭ বলে ১৭ রানের ম্যাচ জেতানো ক্যামিও খেলে জেতেন ম্যাচ সেরার পুরস্কারও।
ম্যাচ শেষে আলিস বলেন, ‘রান নিতে গিয়ে যখন চোটে পড়লাম, আমি যেহেতু দৌড়াতে পারব না, সানি ভাই বললেন যে, ‘যদি দৌড়াতে না পারো, তাহলে বাইরে যাওয়াই ভালো হবে।’ ওই সময় তিন বলে ৮ রান প্রয়োজন ছিল। তাই দ্রুত রান নেওয়াও গুরুত্বপূর্ণ ছিল। প্রথমে বললাম, ‘আমি চেষ্টা করি।’ সানি ভাই বললেন, ‘দরকার নেই। কপালে থাকলে হবে। শরিফুলও মারতে পারবে।’ শরিফুল প্রথম বলেই চার মারল। তখন আমাদের মাঝে বিশ্বাস ছিল যে, এই ম্যাচ আমাদের পক্ষে আছে।’
‘শেষ বলে আমি আবার যখন ফিরে এলাম, সানি ভাইকে বলছিলাম, ‘ভাই আসলেই দেখেন, কপালে যদি থাকে ছয় মেরে দেব।’ সানি ভাই বলছিলেন যে, ছয় দরকার নেই, তুই চারই মার (হাসি)।’
সানির সঙ্গে সেই জুটির গল্প শোনালেন আলিস। তিনি বলেন, ‘না (মনে হয়নি জিততে কষ্ট হবে)। আমি আর সানি ভাই যখন ব্যাটিং করছিলাম, সানি ভাই আমাকে শুধু এই কথাটা বলছিলেন যে, ‘আলিস বিশ্বাস রাখ। তোর ব্যাটিং আমি দেখেছি। তুই পারবি।’
‘আমিও অনেক দিন যাবত চেষ্টা করছিলাম ব্যাটার হওয়ার বা ব্যাটিং করার। কিন্তু হচ্ছিল না কখনও। আমি সেন্টারে (উইকেটে) গিয়ে পারছিলাম না। সিলি সিলি আউট হয়ে যাচ্ছিলাম। সানি ভাই বলছিলেন যে, ‘বিশ্বাস রাখ। ক্রিকেট যে কোনো কিছুর খেলা। যে কোনো কিছু হতে পারে।’