চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমদ এমপি বলেছেন, আবদুল্লাহ আল হারুন চৌধুরী ছিলেন একজন প্রকৃত শিক্ষিত বিদগ্ধ রাজনীতিবিদ। সাধারণ মানুষের প্রতি তার শ্রদ্ধাবোধ ছিল, অত্যন্ত দীন-দরিদ্র এবং অখ্যাতজনকেও মূল্য দিতেন তিনি। তিনি শুধু দীর্ঘ দেহে নয় মনেও অসাধারণ ছিলেন। বিষাক্ত সমাজ জীবনের ছোবল বা লোভার্ত কালিমা তাঁকে স্পর্শ করতে পারেনি। মানুষ হিসেবে আবদুল্লাহ আল হারুন চৌধুরী গৌরবোজ্জ্বল অঙ্গীকার পালন করে গেছেন। লোভকে সংবরণ করতে পেরেছিলেন তিনি। নানা সময়ে নানা দল থেকে সরকারি উচ্চ আসনের অনেক অফার পেয়েও তিনি তা নির্মোহ মানুষের মতো এড়িয়ে যেতে পেরেছেন। বৈভবহীন গৌরবের প্রতি তাঁর এ আকর্ষণ আজকের সমাজে বিরল। তিনি বিভিন্ন সংগ্রামে সাধারণ মানুষের সাথে ছিলেন। তিনি নিজেকে বিতর্কের উর্দ্ধে রাখতে পেরেছিলেন। আবদুল্লাহ আল হারুন চৌধুরী তাঁর কর্মের মাঝে সাধারণ মানুষের হৃদয়ে চিরঞ্জীব হয়ে থাকবেন। ১৪ সেপ্টেম্বর বিকেল ৩টায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব বঙ্গবন্ধু হলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রাক্তণ কেন্দ্রীয় নেতা, সাবেক গণপরিষদ সদস্য, বঙ্গবন্ধু কর্তৃক নিযুক্ত চট্টগ্রাম জেলা বাকশালের সাধারণ সম্পাদক, বৃহত্তর চট্টগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক, ভাষা সৈনিক জননেতা আবদুল্লাহ আল হারুন চৌধুরী’র ১৫তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত স্মরণ সভায় তিনি একথা বলেন। চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহাতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশ ও আওয়ামী লীগে আবদুল্লাহ আল হারুন চৌধুরীদের ভূমিকা অপরীসীম। তিনি তাঁর মেধা দিয়ে দল ও দেশের জন্য কাজ করে গেছেন আজীবন। রাজনীতিতে এখন যে দুর্বৃত্তায়ন ঘটেছে তা থেকে যদি আমরা উত্তরণের পথ খুঁজি তাহলে এই প্রজন্মের কাছে আবদুল্লাহ আল হারুন চৌধুরীদের মতো রাজনীতিবিদের অবদান তুলে ধরতে হবে। তাদের জানাতে হবে, জনগণকে কিছু দেওয়ার জন্য রাজনীতি, কেড়ে নেওয়ার জন্য নয়। সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এম এ সালাম বলেন, রাজনীতি সবাইকে নিয়ে করতে হয়। রাজনীতিবিদদের দেশপ্রেম না থাকলে, সাধারণ মানুষের প্রতি দরদ না থাকলে, লোভ পরিহার করতে না পারলে রাজনীতি হয় না। আবদুল্লাহ আল হারুন চৌধুরী সেই শিক্ষা আমাদের দিয়ে গেছেন। আবদুল্লাহ আল হারুন চৌধুরী একজন দেশ দরদী রাজনীতিবিদ, দেশ ও জাতির জন্য তিনি আজীবন কাজ করেছেন। রাজনীতিতে সাধারণ নেতা-কর্মীদের সাথে তার সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। অনিয়ম, বিভেদ সৃষ্টি করার মতো রাজনীতি তিনি কখনো করেননি। আবদুল্লাহ আল হারুন চৌধুরী একজন অকুতোভয় নিবেদিত প্রাণ, প্রজ্ঞাবান রাজনীতিবিদ ছিলেন।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান বলেছেন, বঙ্গবন্ধু দেশ ও জনগনের স্বার্থে ৭১ এর নির্বাচনে কিছু বাস্তব ও সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, তারা নির্বাচিত হয়ে বিশ্বস্ততার সাথে দলের জন্য অশেষ অবদান রেখেছেন, সফল হয়েছেন, আওয়ামী রাজনীতিকে পরিপূর্ণতা এনেছেন।
চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউল রহমান বলেন, মানুষের কাছে সাধারণ রাজনীতি ও রাজনীতিবিদদের একটা আদর্শ মূর্তি থাকে।
স্মরণ সভায় বক্তব্য রাখেন নজরুল ইসলাম চৌধুরী এমপি, সাবেক এম পি সাবিহা মুছা, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, উত্তর জেলার সহ সভাপতি এ টি এম পেয়ারুল ইসলাম চৌধুরী, আবুল কালাম আজাদ, আবুল কাশেম চিশতী, মহিউদ্দিন রাশেদ, কেন্দ্রীয় শ্রমিক লীগ সহ-সভাপতি সফর আলী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ পালিত, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জসীম উদ্দিন শাহ, মহানগর আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, দক্ষিণ জেলার আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মির্জা কছির উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট জহির উদ্দিন, প্রচার সম্পাদক নুরুল আবছার চৌধুরী, শাহনেওয়াজ হায়দার শাহীন, নাজিম উদ্দিন তালুকদার, আবদুল কাদের সুজন, আবু সুফিয়ান, আবু তালেব, নাজিম উদ্দিন তালুকদার, মো. ইয়াছিন, আবু তাহের, বিজয় কুমার বড়–য়া, নুরুল আমিন চৌধুরী, মাহবুবুর রহমান শিবলী, জয়নুদ্দিন জয়, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও মরহুমের সন্তান শামীমা হারুন লুবনা, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি এস এম বোরহান উদ্দিন প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি