আনন্দবাজার >
বাংলাদেশে দ্বিতীয় ডোজের টিকা পাননি প্রায় ১৫ লক্ষ মানুষ। প্রথম ডোজের টিকা পেয়েছেন। দ্বিতীয় ডোজের সময় পার হয়ে গেছে। ৪ জুন গতকাল নয়াদিল্লি স্পষ্ট জানিয়ে দিল, আপাতত যা পরিস্থিতি তাতে কোনওভাবেই অন্য কোনও রাষ্ট্রকে কোভিডের প্রতিষেধক পাঠাতে পারবে না ভারত। বরং তারা এখন আমদানির জন্যই ঝাঁপিয়েছে।
এই নিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে বিদেশ মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আপনারা জানেন যে, প্রতিষেধক এবং অন্যান্য সরঞ্জাম বাইরের দেশগুলিতে রপ্তানির ক্ষেত্রে ভারতই সবার আগে ছিল। কিন্তু আমরা এখন বাইরে থেকে সরবরাহ (প্রতিষেধক) আমদানিকেই নিশ্চিত করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ করছি। সেই প্রেক্ষাপটে প্রতিষেধক রপ্তানির করার প্রশ্ন ওঠাটাই ঠিক নয়। আমরা এখন ঘরোয়া প্রতিষেধক তৈরির কর্মসূচিকেই মূল লক্ষ্যবস্তু করেছি।
কূটনৈতিক শিবিরের মতে, ভারতে যেভাবে টিকা কার্যক্রম করা সম্ভব হবে বলে ধরে নেওয়া হয়েছিল তার ধারকাছ দিয়েও যেতে পারেনি মোদি সরকার। কিন্তু সেই সঙ্গে এই বিতর্কও উঠছে যে, কেন্দ্র নিজে থেকেই বারবার বাংলাদেশ-সহ গোটা বিশ্বকে আশ্বস্ত করেছিল ‘বসুধৈব কুটুম্বকম’-এর নীতির কথা বলে। এপ্রিলের গোড়ায়, অর্থাৎ ভারতে কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার ঠিক আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এক সংলাপে জানিয়েছিলেন, স্বাস্থ্যক্ষেত্রে ভারতের যে-টুকু সম্পদ তা গোটা বিশ্বের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়াতেই বিশ্বাস করে তার সরকার।
বাংলাদেশের বক্তব্য হচ্ছে ভারতের আশ্বাসেই অন্য কোনোও দেশের দিকে তাকানো হয়নি টিকার জন্য। এমনকি প্রাথমিক ভাবে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছিল চীনকেও। ঢাকা সূত্রের বক্তব্য, ‘উপায়ান্তর না দেখে সেই এখন চীনের দ্বারস্থ হতে হচ্ছে। যদিও আমরা এখনও জানি না, যারা ভারতের কাছ থেকে প্রথম ডোজ নিয়ে বসে রয়েছেন তাদের এখন প্রোটোকল কী হবে?’ বাংলাদেশ সূত্রে অবশ্য এ কথাও জানা যাচ্ছে, বিদেশসচিব এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত প্রাক্তন ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা বেশ কিছু দিন আগেই ঘরোয়া ভাবে ঢাকাকে সতর্ক করেছিলেন। জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশ যেন তাদের নাগরিকদের জন্য প্রতিষেধকের বিকল্প ব্যবস্থা করতে শুরু করে। কারণ, অন্য দেশকে দেওয়ার মতো বাড়তি টিকা ভারতের হাতে নেই।
এ মুহূর্তের সংবাদ