চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী বলেছেন, বিএনপি পরিকল্পিতভাবে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে আন্দোলনের নামে ধ্বংসাত্মক রাজনীতিতে লিপ্ত রয়েছে। আজ মানুষের মাঝে তারা আতঙ্ক ও ভয় সৃষ্টি করতে চায়। অতীতে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে তারা লুটপাট করেছে মানুষের অধিকার নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছে। এই অপশক্তিটি আমাদের স্বাধীনতা জাতীয় পতাকা ও জাতীয় সংগীত অন্তরে ধারণ করেন না। এরা ’৭১ এর পরাজিত শক্তির প্রেতাত্মা।
শোকাবহ আগস্ট মাসে জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচী পালনোপলক্ষে বন্দর থানা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে নিমতলাস্থ এসকে কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, আন্দোলন যেকোনো দল করতে পারে, তবে তা যৌক্তিত ও গণতান্ত্রিক পন্থায় হতে হবে। কিন্তু আন্দোলনের নামে নাশকতা ও অরাজকতা আমরা কিছুতেই মেনে নেব না এবং রাজপথেই তার বিরুদ্ধে অবস্থান নেব।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ.জ.ম. নাছির উদ্দীন বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষ মনে প্রাণে শান্তি কল্যাণ ও স্থিতিশীলতায় বিশ্বাস করে। কিন্তু শান্তি ও স্থিতিশীলতা বিনষ্টকারী অপশক্তিকে ঘৃণাভরে প্রত্যাক্ষান করে। বিএনপির জন্ম ক্যান্টমেন্ট। দলটির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু হত্যা পরবর্তী ক্ষমতা কুক্ষীগত করে এদেশে পাকিস্তানী এজেন্ডা বাস্তবায়ন করেছেন। বঙ্গবন্ধুর খুনীদের ইন্দন, আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়ে এমনকি তাদের হত্যার দায় মুক্তিতে সংসদে বিল পাস করিয়ে ইতিহাসের জঘন্যতম খল নায়ক হিসেবে আবির্ভূত হন। জিয়া এদেশের রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নের প্রথম পৃষ্ঠপোষক। দেশে যা কিছু অমঙ্গল, অবিচার, অন্যায় হয়েছে তিনি এসবের ইন্দনদাতা। বঙ্গবন্ধু হত্যা ও ১৫ আগস্টের ট্র্যাজেডির মূল হোতা হচ্ছেন জিয়া। তাই তাকে নতুন প্রজন্মের কাছে খল নায়ক হিসেবে চিহ্নিত করার সময় এসেছে। তিনি আরো বলেন, আমরা লক্ষ্য করছি যে বিএনপি আন্দোলনের নামে দেশে অরাজকতা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে। যদি তারা আবারো জালাও পোড়াও, পুলিশের উপর হামলা, জানমালের নিরাপত্তা বিঘিœত করে তাহলে তাদেরকে কিছুতেই রাজপথে নামতে দেওয়া হবে না।
বন্দর থানা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সুলতান আহমদের সভাপতিত্বে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হাজী মোহাম্মদ ইলিয়াছের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদের সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলহাজ্ব নঈম উদ্দীন চৌধুরী, আলহাজ্ব খোরশেদ আলম সুজন, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব মশিউর রহমান চৌধুরী, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক হাজী জহুর আহমদ, ত্রাণ সমাজ কল্যাণ সম্পাদক হাজী মো. হোসেন, শ্রম সম্পাদক আব্দুল আহাদ, নির্বাহী সদস্য গোলাম মোহাম্মদ চৌধুরী, হাজী বেলাল আহমদ, ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আলহাজ্ব মিজানুর রহমান মজুমদার, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগে মো. ইসকান্দর মিয়া, মো. সাইফুল আলম চৌধুরী, মো. জানে আলম, মো. আব্দুল মান্নান, মোর্শেদ আলী, যুবলীগের মো. জাকির মিয়া, টিসু মল্লিক, আব্দুল আজিম, মো. সাইফুল, মো. সালাউদ্দীন, স্বেচ্ছাসেবক লীগের মো. খোকন চৌধুরী সাদ্দাম, ছাত্রলীগের মো. কাইয়ুম, অংকন শীল, উপস্থিত ছিলেন থানা আওয়ামী লীগের মো. কামরুল হোসেন, মোর্শেদ আলম, মহিউদ্দীন কবির, মো. কামাল, মো. আলী, মো. ইসহাক, আলী আজগর, সৈয়দ এনামুল হক মুনুরী, মো. নাসির, সাহেদ বশর, মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান আহমেদ ইমু, শাকিল হোছাইন প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি