সুমন শাহ্, আনোয়ারা :
মাছের সাথে ধরা পড়ছে নানা প্রজাতের ছোট-বড় কাঁকড়াও। জাল থেকে মাছ গুলোকে আলাদা করে মাটিতে ফেলে দেওয়া হচ্ছে কাঁকড়া গুলোকে। কাঁকড়া গুলো কিছুড়্গণ পওে মরে যাচ্ছে। মাছের সাথে অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ জলজ প্রাণী মারা গিয়ে একদিকে যেমন পরিবেশের উপর পড়ছে বিরূপ প্রভাব। অন্যদিকে শিকার করা মাছের সাথে হারিয়ে যাচ্ছে নানা প্রজাতির কাঁকড়াও। বৃহস্পতিবার বিকালে চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের দোভাষী বাজার এলাকার সৈকত চরে এমন দৃশ্য চোখে পড়ে।
তবে ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত কঠোর নির্দেশনা রয়েছে মাছ বা কাঁকড়া শিকারের জন্য কোন জেলেকে সমুদ্রে না যাওয়ার জন্য। আর যারা মাছ ও কাঁকড়া ধরে জীবিকা নির্বাহ করে তাদেরকে মৎস্য অধিদপ্তর থেকে দেওয়া হচ্ছে সব ধরনের সুযোগ সুবিধাও। কিন্তু এ সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছের সাথে কাঁকড়াও শিকার করছে জেলেরা। মাছ শিকারের সময় জেলেদের জালে আটকে পড়ছে এসব নানা প্রজাতির কাঁকড়া। কিন্তু সে কাঁকড়া জেলেদের কোনো কাজে আসে না বলেও জানান মাছ ধরা জেলেরা। তাই তারা মাছ থেকে কাঁকড়া গুলোকে আলাদা করে ফেলে দিচ্ছেন মাটিতে। আর সে গুলো অনেকেই মাছের খাদ্য হিসেবে তৈরি করতেও নিয়ে যায় বলেও জানায়।
আনোয়ারা জ্যেষ্ঠ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা রাশিদুল হক বলেন, এসময়ে ২০মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত কঠোর নির্দেশনা রয়েছে মাছ বা কাঁকড়া শিকারের জন্য কোন জেলেকে সমুদ্রে না যাওয়ার জন্য। মাছ ও কাঁকড়া ধরে জীবিকা নির্বাহ করে তাদের জন্যও বিভিন্ন সুযোগ সুবিধাও দেওয়া হচ্ছে। এরমধ্যে কিছু জেলে গোপনে মাছ ধরতে গিয়ে মেরে ফেলছে নানা প্রজাতের কাঁকড়াও। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।