সাগরিকা পশুর হাটের পশ্চিম পাশে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) এক একর জায়গায় প্রায় ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে আধুনিক কসাইখানা নির্মাণে চসিক ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার টাইগারপাস চসিক কার্যালয়ে মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর উপস্থিতিতে চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম এবং প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক মো. আব্দুর রহিম এ সংক্রান্ত একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেন।
কসাইখানাটিতে দুটি পৃথক লাইনে একইসঙ্গে প্রতি ঘণ্টায় ২৫টি গরু-মহিষ এবং ৬০টি ছাগল জবাই ও প্রক্রিয়াজাত করা যাবে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে সম্পূর্ণ হালালভাবে পশু জবাই হবে এ স্মার্ট কসাইখানায়। এ কসাইখানায় জবাই করা পশুর মাংসে রক্ত-পানি জমে থাকবে না বিধায় ক্রেতারা মাংস কিনে লাভবান হবেন।
সভায় মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, আমি দায়িত্ব নেয়ার পর জানতে পারি বিভিন্ন জটিলতায় এই প্রকল্পের বিষয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করে সমস্যাগুলো নিরসন করায় এই প্রকল্প আলোর মুখ দেখছে।
তিনি বলেন, ‘জনস্বাস্থ্যের উন্নয়নে আধুনিক এই কসাইখানা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এটির নির্মাণ কাজ শেষ হলে নগরের যেখানে-সেখানে পশু জবাই বন্ধ হবে। এতে পরিবেশ দূষণ কমে আসবে। রোগবালাই আছে এমন গরু জবাই করা বন্ধ হবে। বিজ্ঞানসম্মত ও স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে প্রক্রিয়াকৃত মাংস খেতে পারবে চট্টগ্রামবাসী।’
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বলেন, মানুষের আর্থিক সক্ষমতা বাড়ার সাথে সাথে স্বাস্থ্যসম্মত খাবার চান। এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে সচেতন জনগণ এই কসাইখানা থেকে জবাই করা পশুর মাংসই খেতে চাইবেন। কারণ, এ কসাইখানায় সম্পূর্ণ স্বাস্থ্যসম্মতভাবে মাংস প্রক্রিয়া যাবে। রোগ-জীবাণু ও স্বাস্থ্যঝুঁকি কমাবে এ কসাইখানা। এছাড়া এখানে জবাই করা পশুর চামড়াও থাকবে একদম নিখুঁত।
চুক্তিস্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলর মোবারক আলী, চসিকের ভারপ্রাপ্ত সচিব নজরুল ইসলাম, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা লতিফুল হক কাজমি, মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, আইন কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন, ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ শাহীন উল ইসলাম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী জসিম উদ্দিনসহ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, চসিক ও সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা।