সুপ্রভাত ডেস্ক »
বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম পূজা ধনসম্পদের দেবী ‘লক্ষ্মীপূজা’ আজ। শাস্ত্রমতে, ধনসম্পদ, সৌভাগ্য ও সৌন্দর্যের দেবী লক্ষ্মী। তিনি বিষ্ণুর পত্নী, বিষ্ণুর শক্তিরও উৎস।
পঞ্জিকা অনুযায়ী, সোমবার (৬ অক্টোবর) বেলা ১১টা ৫৪ মিনিট থেকে পূর্ণিমা তিথি শুরু হবে। মঙ্গলবার সকাল ১০টা ১ মিনিট ৪৫ সেকেন্ডে এই তিথি শেষ হবে।
লক্ষ্মকে নিয়ে বাংলার জনসমাজে বিভিন্ন জনপ্রিয় গল্প প্রচলিত আছে। এই গল্পগুলো পাঁচালি আকারে লক্ষ্মীপূজার দিন পাঠ করা হয়। একে লক্ষ্মীর পাঁচালি বলা হয়।
লক্ষ্মীপূজার গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ হলো– সিঁদুর, ঘট, ধান, মাটি, আম্রপল্লব, ফুল, দূর্বা, তুলসীপাতা, হরীতকী, চন্দন, ধূপ, দীপ, নৈবেদ্য, আতপ চাল ও জল। লক্ষ্মীপূজায় মঙ্গলঘট, ধানের ছড়ার সঙ্গে গৃহস্থের আঙিনায় শোভা পায় চালের গুঁড়োর আলপনায় লক্ষ্মীর ছাপ। এ উপলক্ষ্যে রমণীরা উপবাস ব্রত পালন করেন।
লক্ষ্মীপূজায় রাত্রি জাগরণ করা হয়। কোজাগরী অর্থাৎ কে জাগরী বা কে জেগে আছো। শাস্ত্রমতে এই রাতে লক্ষ্মী সবার বাড়িতে যান। যে গৃহের দরজা বন্ধ থাকে ও গৃহস্থরা ঘুমিয়ে থাকেন, সেখান থেকে লক্ষ্মী ফিরে আসেন। এ কারণে এই লক্ষ্মীপূজাকে কোজাগরী বলা হয় এবং রাত্রি জাগরণের নিয়ম রয়েছে। বাঙালি হিন্দুর ঘরে ঘরেই দেবী লক্ষ্মীর পূজা হয়ে থাকে। গৃহস্থরা প্রতি বৃহস্পতিবার লক্ষ্মীর পূজা করেন।