যাদের ডায়বেটিস আছে তাদের দৈনন্দিন খাদ্যতালিকার দিকে তাকালে দেখা যায়, সেটা কার্বোহাইড্রেট এ ভরপুর থাকে।
সকালের নাস্তা থেকে শুরু করা যাক; চিনিযুক্ত চা, বিস্কিট, রূটি, মুড়ি, ভাত, চিড়া, বন, পরোটা, নানরুটি ইত্যাদি দিয়ে সাজানো হয় সকালের প্রাতরাশ। শরীর কার্বোহাইড্রেটে ভরপুর হয়, এরপর দুপুরের আগে আবার চা বিস্কিট আর দুপুরে ভরপেট কার্বোহাইড্রেট তথা ভাত খাওয়া হয়। বিকেলে আবার আটা বা ময়দায় তৈরী নাস্তা, মুড়ি, বিস্কিট এবং রাতেও ভাত।
তারমানে একজন ডায়বেটিস রোগী সারাদিন যা খায় বা তাকে যে খাদ্য তালিকা দেয়া হয় তার সবচেয়ে বড় অংশই থাকে কার্বোহাইড্রেট। তাহলে, তার ডায়বেটিস থেকে মুক্তির কোন সম্ভাবনা তো নেইই বরং চিরস্থায়ী ডায়বেটিস রোগী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার ব্যবস্থা করা হয়। চক্রটা যে রুপ ধারণ করে তা হলো, সারাদিন কার্বোহাইড্রেট খাও, ওষধ আর ইনসুলিন নাও। জীবন এভাবে শেষ হতে থাকে, পাশাপাশি হার্ট, লিভার, কিডনি, চোখ, নার্ভ ইত্যাদি নষ্ট হতে থাকে। ফ্যাটিলিভার ও হাইপারইন্সুলিনেমিয়া এই রোগিদের অনিবার্য পরিনতি হয়ে দাঁড়ায়, ফলে সে আজীবন ডায়বেটিস ও ডায়বেটিস জনিত সমস্যায় আক্রান্ত হতে থাকে। ডায়বেটিস রোগীদের এই দুর্দশার চক্র থেকে মুক্তি মিলবে কিভাবে? আমরা পরবর্তীতে তা জানবো।