সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক »
খালেদ মাহমুদ সুজন দলের সঙ্গে থাকলে দল চাঙা থাকে। অতীতে বহুবার এমনটা দেখা গেছে। বাংলাদেশের প্রথমবারের মতো অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ের নেপথ্যে তার বড় ভূমিকা ছিল। জাতীয় দলেও টিম ডিরেক্টর হিসেবে বহুবার দায়িত্ব পালন করেছেন। মাঝে তো ছিলেন কোচও। এবার বিশ্বকাপে সুজনকে সেই পুরোনো দায়িত্ব ‘টিম ডিরেক্টর’ হিসেবে পাঠিয়েছে বিসিবি। কিন্তু দলের এমনই ভরাডুবি হলো। সুজন এখন ভীষণ বিব্রত। পরিস্কার ভাষায় জানিয়ে দিলেন, এমন জানলে তিনি বিশ্বকাপেই যেতেন না। তার ক্ষমতাও কমিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে নাখোশ বিসিবির এই সিনিয়র পরিচালক। দিল্লিতে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় টিম হোটেলের বাইরে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপে সুজন কিছুটা ক্ষোভই প্রকাশ করেছেন। এবার তিনি দল নির্বাচনে নেই, জানিয়ে দিয়েছেন সেই কথাও। সুজন বলেন, ‘বিসিবি থেকে আমাকে যে ভূমিকা দেওয়া হয়েছে সেটাই করার চেষ্টা করছি। প্রতিটা ট্যুরেই একটা বাড়তি দায়িত্ব থাকতো যে, আমি দল নির্বাচনের অংশ থাকতাম, যেটা এবার নেই।’
‘আমার তো সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা নেই। আমাকে বলে দেওয়া হয়েছে আমি কতটুকু পারব, কতটুকু পারব না। এখানে ক্রিকেটিং রুল আমার না’-যোগ করেন সুজন। ক্ষমতা নেই, এমন ভূমিকা উপভোগ করছেন কিনা? এই প্রশ্নে সুজন রাখঢাক না রেখেই বলে ফেললেন, ‘খুশি তো (না)ৃআমি তো এভাবে থাকতে চাইনি। যেহেতু আমার রক্তেই ক্রিকেট। কোচিং করি এটা আমার পেশা। টেকনিক্যাল মানুষ হিসেবে গত যে ট্যুরগুলাতে যে ভূমিকা ছিল। এসব থেকে আমি দূরেই আছি। আমি উপভোগ করছি কিনা-না, অবশ্যই না।’
সিদ্ধান্ত নেওয়ার কোনো ভূমিকায় থাকবেন না এমন জানলে বিশ্বকাপে আসতে রাজি হতেন কিনা? এমন প্রশ্নে সুজনের পরিস্কার জবাব, ‘না আসতাম না, প্রথম কথা হচ্ছে এটা। আমি বিশ্বকাপে আসার আগে বলেছিলাম, সেমিফাইনাল খেলব। এখন মনে হয় কোন চিন্তা করে যে বলেছিলাম!’
সুজন তবু মনে করছেন, যা হয়ে গেছে এটা নিয়ে আর চিন্তা করে লাভ নেই। বাকি দুই ম্যাচে দলের কাছে ভালো কিছু আশা করছেন তিনি। খবর জাগোনিউজ’র