নেপালের বিপক্ষে ১৩ ও ১৭ নভেম্বর দুটি প্রীতি ম্যাচ
সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক :
নেপালের বিপক্ষে আসন্ন দুটি প্রীতি ম্যাচের আলোচনায় ঘুরেফিরে আসছে শেষ দুটি ম্যাচে হারের প্রসঙ্গ। মিডফিল্ডার সোহেল রানা এবার ওই দুই ম্যাচের ভুলগুলো শুধরে নিতে চান। নিজেদের নেপালের চেয়ে ‘ভালো দল’ দাবি করে প্রতিশ্রুতি দিলেন সামনের দুটি ম্যাচ জয়ের। খবর বিডিনিউজের।
আগামী ১৩ ও ১৭ নভেম্বর নেপালের বিপক্ষে দুটি প্রীতি ম্যাচ বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে খেলবে বাংলাদেশ। এ উপলক্ষে কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে গতকাল মঙ্গলবার চতুর্থ দিনের অনুশীলন সেরেছে দল।
সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের গত দুই আসরে (২০১৩ ও ২০১৮) নেপালের কাছে হেরেছিল দল। দুবারই ২-০ ব্যবধানে। অনূর্ধ্ব-২৩ দল নিয়ে গত বছর হওয়া দক্ষিণ এশিয়ান গেমসে (এসএ গেমস) সর্বশেষ দেখায়ও বাংলাদেশের হার ১-০ গোলে।
সোহেল জানালেন, অতীতের ভুলগুলো শুধরে নিচ্ছেন তারা। দলীয় শক্তির দৃষ্টিকোণ থেকে নেপালকে শক্তিশালী মানলেও ২৫ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডার বললেন, প্রতিপক্ষের দুর্বলতা জানা আছে তাদের।
‘নেপাল-বাংলাদেশ দল তুলনা করলে অবশ্যই আমরা ভালো। কিছু কিছু ছোটখাটো ভুলের জন্য আমরা ম্যাচে হেরে যাই। কিন্তু মান বিচার করলে আমরা ভালো দল। গত দুটি ম্যাচে ও বিগত দিনগুলোয় যে ভুলগুলো করেছি, সামনের খেলাগুলায় ওই ভুলগুলো সংশোধন করে নিতে পারব বলে আশা করি। সামনের দুটি ম্যাচ অবশ্যই জিততে চাই। সেই লক্ষ্যেই আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি।’
‘দল হিসেবে নেপাল ভালো, কিন্তু ব্যক্তিগত নৈপুণ্যনির্ভর খেলোয়াড়ের দিক চিন্তা করলে ওরা আমাদের থেকে এত ভালো না। দলগতভাবে তারা শক্তিশালী, কিন্তু তাদের দুর্বল জায়গাগুলিও আমাদের জানা। সামনের দুই ম্যাচে আমাদের চিন্তাভাবনা আছে কিভাবে আমরা ফিটনেস ঠিক করে এই দুটি ম্যাচ ভালোভাবে খেলব। যাতে ভালো ফলাফল পেতে পারি, এ লক্ষ্যে কঠোর পরিশ্রম করছি। আশা করি, দুটি ম্যাচে ভালো ফলাফল নিয়ে আসতে পারব।’ চতুর্থ দিনের অনুশীলনেও কাজ হয়েছে ফিটনেস বাড়ানো নিয়ে। সোহেলও জানালেন লম্বা সময় অনুশীলনে ফেরার কারণে এ দিকটায় জোর দেওয়া হচ্ছে বেশি।
‘আমরা প্রথম সপ্তাহে ফিজিক-এর ওপর বেশি নজর দিয়েছি। কোচ আমাদের ফিটনেসের ওপর প্রশিক্ষণ দিচ্ছে, যেহেতু আমরা লম্বা সময় খেলার বাইরে ছিলাম। প্রথম সপ্তাহে ফিটনেসে বেশিরভাগ, পাশাপাশি রানিং, বলেও ট্রেনিং করাচ্ছে। গতকাল জিমে কিছু ট্রেনিং ছিল। আজ আবার ফিটনেসের ওপর বেশি কাজ করিয়েছে। প্রথমে বল নিয়ে ট্রেনিং হয়েছে ৪০ মিনিটের মতো। এরপর এনডুরেন্স বাড়ানোর জন্য ট্রেনিং হয়েছে।’