সুপ্রভাত ডেস্ক »
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানিয়েছেন, আগামী এক সপ্তাহে সারাদেশের সব এলাকায় বিকেল ৫টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত অন্তত এক ঘণ্টা লোডশেডিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
আজ সোমবার (১৮ জুলাই) বিকেলে সচিবালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, ‘এক সপ্তাহ পর্যবেক্ষণ করে পরের সপ্তাহে লোডশেডিং এর পরিমাণ বাড়ানো বা কমানো হবে’।
তিনি আরও বলেন, ‘খরচ কমাতে ডিজেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোতে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ রাখার রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এতে জ্বালানি আমদানির খরচ ২০ শতাংশ পর্যন্ত কমবে’।
ডিজেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো দেশের মোট বিদ্যুতের ২.৭৯ শতাংশ সরবরাহ করে। সোমবার সরকার পরবর্তী নোটিশ না দেওয়া পর্যন্ত এসব কেন্দ্র বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে
এছাড়া রাত ৮টার পর শপিং মলসহ দোকানপাট বন্ধ রাখা, উপাসনালয়ে প্রার্থনার সময় ছাড়া এসি ব্যবহারে সাশ্রয়ী হবার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
নসরুল হামিদ বলেন, ‘পেট্রোল পাম্প সপ্তাহে একদিন বন্ধ রাখার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। বিপিসি পেট্রোল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে বসে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে।’
বিশ্বে জ্বালানি সংকটের কথা তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী জ্বালানি সংকটের কারণে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ নানা রকম সাশ্রয়ী নীতি গ্রহণ করেছে। কিছু কিছু দেশ দাম বৃদ্ধি করেছে। কেউ কেউ সাশ্রয়ী নীতি নিয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘দেশে যে পরিমাণ ডিজেল আমদানি হয়, তার ১০ ভাগ বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহার হয়। আর বাকি ৯০ ভাগ ব্যবহার হয় অন্য খাতে। এখন যদি আমরা ১০ ভাগ বিদ্যুতে বন্ধ করার পর যদি অন্য খাত থেকে আরও ১০ ভাগ বাঁচাতে পারি। তাহলে আমাদের বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে।’
ডিজেলের বিদ্যুতের দামের বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এখন ডিজেলভিত্তিক বিদ্যুতের ইউনিট প্রতি উৎপাদন ব্যয় দাঁড়িয়েছে ৪০ টাকা। কিন্তু আমরা বিক্রি করে এই অর্থ পাচ্ছি না।’ তিনি বলেন, ‘আমরা এখন গ্যাস প্রতি এমএমবিটিইউ ৩৯ ডলারে কিনে এনে ৭ টাকায় বিক্রি করছি।’