আওয়ামী লীগ প্রার্থীসহ ৫ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল, বৈধ ১৫

কক্সবাজার-১ ও ২

নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজার

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের প্রথম দিনে কক্সবাজার-১ ও ২ আসনের ২০ জন প্রার্থীর মধ্যে ৫ জনের প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। বাকিদের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করেছেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা।

গতকাল রোববার যাচাই-বাছাই শেষে কক্সবাজার জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান এ ঘোষণা দেন।

প্রথম দিনে কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সালাহউদ্দিন আহমদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। কারণ হিসেবে সালাহউদ্দিনের ঋণ খেলাপির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। জনতা ব্যাংক লালদীঘি শাখা থেকে ‘ফিস প্রিজারভারস’ নামক ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের বিপরীতে সালাহ উদ্দিন আহমদসহ অন্য পরিচালকগণ প্রায় অর্ধ শত কোটি টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। যা পরবর্তীতে খেলাপি হয়।
আওয়ামী লীগের প্রার্থী সালাউদ্দিন ছাড়াও চার স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়পত্র বাতিল হয়েছে। তারা হলেন- শফিকুল ইসলাম, কমর উদ্দিন আরমান, শামসুদ্দিন মুহাম্মদ ইলিয়াছ ও শাহনেওয়াজ চৌধুরী।
এ আসনে বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে আটজন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র। তারা হলেন- বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, মহাসচিব আবদুল আউয়াল মামুন, জাতীয় পার্টির (জেপি) প্রেসিডিয়াম সদস্য এ এইচ সালাহউদ্দিন মাহমুদ, জাতীয় পার্টি (জাপা) মনোনীত প্রার্থী হোসনে আরা, ওয়ার্কার্স পার্টির বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু মোহাম্মদ বশিরুল আলম, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মোহাম্মদ বেলাল উদ্দিন, বর্তমান সংসদ সদস্য জাফর আলম ও জাফর আলমের ছেলে তানভির আহমদ সিদ্দিকী।

এদিন কক্সবাজার-২ (মহেশখালী-কুতুবদিয়া) আসনে জমা দেয়া ৭ জন প্রার্থীরই মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা হয় । এর মধ্যে রয়েছেন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, জাকের পার্টির মোহাম্মদ ইলিয়াছ, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের (বিএনএম) মোহাম্মদ শরীফ বাদশা, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির মোহাম্মদ খাইরুল আলম, ইসলামী ঐক্যজোটের মো. ইউনুস, ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশের মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান এবং ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মাহাবুবুল আলম ।
আজ সোমবার কক্সবাজার-৩ (সদর-রামু-ঈদগাঁও) আসনের ৬ জন এবং কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসনের ৯ জন প্রার্থীর দাখিল করা মনোনয়নপত্র বাছাই কার্যক্রম সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়ে বিকাল চারটা পর্যন্ত চলবে।
কক্সবাজার-৩ আসনের প্রার্থীরা হলেন- আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, জাতীয় পার্টি (জাপা) থেকে মোহাম্মদ তারেক, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির শামীম আহসান, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ) প্রার্থী মোহাম্মদ ইব্রাহিম, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির আবদুল আওয়াল মামুন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল মজিদ।

কক্সবাজার-৪ আসনের প্রার্থীরা হলেন- আওয়ামী লীগ মনোনীত বর্তমান সংসদ সদস্য শাহিন আকতার, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির ফরিদ আলম, জাতীয় পার্টির নুরুল আমিন সিকদার ভূট্টো, তৃণমূল বিএনপির মুজিবুল হক মুজিব, ইসলামী ঐক্যজোটের মোহাম্মদ ওসমান গণি চৌধূরী, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. ইসমাইল, স্বতন্ত্র থেকে সাহেল আহমদ বাহাদুর, মো. নুরুল বশর ও মো. ইসহাক।
যাচাই বাছাই শেষে ৪ ডিসেম্বর বিকাল চারটার পর কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন আসনের প্রার্থীদের বিষয়ে জানাবে নির্বাচন কমিশন। এরপর রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ও নিষ্পত্তি কার্যক্রম চলবে ৫ থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সুযোগ থাকছে ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
১৮ ডিসেম্বর প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হবে। এদিন থেকেই প্রচারণা শুরুর সুযোগ পাবেন প্রার্থীরা।