বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, আওয়ামী লীগের কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই। শুধু কয়েকটি জায়গায় যেতে পারবে। একটি হচ্ছে প্রতিদিন টাকা দিয়ে বিরিয়ানি খাইয়ে শান্তি কমিটির মিটিং করা। আবার টাকা নিয়ে, বিরিয়ানি খেয়েও বিএনপির মিছিলেও চলে আসে অনেকে। এটা আমি সত্যি কথা বলছি। এই হলো জনগণের সঙ্গে আওয়ামী লীগের অবস্থা।
তিনি শনিবার বিকেলে নগরীর কাজির দেউড়ি নুর আহম্মেদ সড়কে সরকারের পদত্যাগের একদফা দাবিতে মহানগর বিএনপির উদ্যোগে কেন্দ্র ঘোষিত কালো পতাকা গণমিছিল পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর নেতৃত্বে বিএনপির নেতাকর্মীরা কালো পতাকা হাতে নিয়ে গণমিছিলটি কাজির দেউড়ি নুর আহম্মেদ সড়ক থেকে শুরু হয়ে লাভলেইন, বৌদ্ধ মন্দির মোড়, চেরাগী মোড় হয়ে আন্দরকিল্লা মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।
মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহবায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটনের পরিচালনায় গণমিছিল পূর্ব সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দীন, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী আরও বলেন, আরেকটা হচ্ছে কিছু আওয়ামী পুলিশ আছে, তাদেরকে ব্যবহার করে মিথ্যা মামলা, গায়েবী মামলা দেবে। আর বিএনপির প্রতিটি অনুষ্ঠানের আগে-পরে গ্রেফতার করবে। এরপর বিচারবিভাগকে ব্যবহার করে মিথ্যা মামলা ও গায়েবী মামলাকে ব্যবহার করে বিএনপির নেতাকর্মীদের দ্রুতগতিতে জেলে পাঠানোর একটি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
তিনি বলেন, আগামী দিনে যে নির্বাচন আসছে, সেটা বাধাগ্রস্ত করার জন্য যারা ভূমিকা পালন করবে, তাদের আমেরিকার ভিসা তো বাতিল হবেই। সেটা সমস্যা নেই। ছেলেমেয়ে নিয়ে থাকতে পারবে না। চলে আসতে হবে। বাংলাদেশের মানুষ যে স্যাংশন দেবে এখান থেকে কেউ মুক্তি পাবে না।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম বলেন, আজকে চট্টগ্রাম শহর কালো পতাকা মিছিলের নগরীতে পরিণত হয়েছে। এ গণমিছিল থেকেই সরকারের বিদায়ের ঘণ্টা বেজে গেছে।
সভাপতির বক্তব্যে ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, গণমিছিল হচ্ছে বিদেশে হাজার কোটি টাকা পাচার ও বেগম খালেদা জিয়াকে গৃহবন্দী করে রাখার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ। বর্তমানে মানুষের কোনো অধিকার নেই। বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাসসহ মানুষের মৌলিক অধিকার হরণ করা হয়েছে। দেশে আইনের শাসন নেই।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এ এম নাজিম উদ্দীন বলেন, সরকারকে পদত্যাগ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনরায় বহাল করতে হবে।
আবুল হাশেম বক্কর বলেন, বাংলাদেশের অস্তিত্বের সংকট চলছে। ১৫ বছর ধরে আওয়ামী লীগ জোর করে ক্ষমতা দখল করে বসে আছে। প্রতিনিয়ত গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ নষ্ট করছে।
আবু সুফিয়ান বলেন, আওয়ামী লীগ সবসময় বলে, নির্বাচন হবে সংবিধানের অধীনে, এর বাইরে তারা যাবে না, তাহলে বাংলাদেশে বিএনপি নেতাকর্মীদের গায়েবী মামলা দিয়ে গ্রেফতার করছেন, সেটা কোন সংবিধানে লেখা আছে?
এতে আরও বক্তব্য রাখেন মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ আজিজ, যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, অ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তার, এস এম সাইফুল আলম, এস কে খোদা তোতন, নাজিমুর রহমান, শফিকুর রহমান স্বপন, কাজী বেলাল উদ্দিন, মো. শাহ আলম, ইসকান্দর মির্জা, আবদুল মান্নান, আহবায়ক কমিটির সদস্য এরশাদ উল্লাহ, জয়নাল আবেদীন জিয়া, মো. আলী, মাহবুব আলম, প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি