সুপ্রভাত ডেস্ক »
আগে ব্যাটিং করতে নেমে রনি তালুকদার, লিটন কুমার দাস ব্যাট হাতে ঝড় তুললেন। পরে পেস আগুন ঝড়িয়েছেন তাসকিন আহমেদ। সব মিলিয়ে আয়ারল্যান্ডকে স্রেফ উড়িয়ে দিল বাংলাদেশ। তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটিতে ২২ রানে জিতেছে বাংলাদেশ।
বৃষ্টির কারণে আগে ব্যাটিং করতে নামা বাংলাদেশের ইনিংস থেমে যায় ১৯.২ ওভারে ২০৭ রানে। দীর্ঘক্ষণ বৃষ্টির কারণে খেলা বন্ধ থাকার পর আবারও যখন খেলা শুরু হলো জয়ের জন্য আয়ারল্যান্ডের টার্গেট দাঁড়ায় ৮ ওভারে ১০৪ রান। উইকেট ব্যাটিংবান্ধব হলেও বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের বিপক্ষে এতো রান করতে পারেনি আয়ারল্যান্ড। ৮ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ৮১ রানে থেমেছে আইরিশরা। সোমবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ১০৪ রানের জবাব দিতে নেমে আয়ারল্যান্ডের শুরুটা কিন্তু হয়েছিল দুর্দান্ত। প্রথম দুই ওভারে ৩২ রান তোলেন সফরকারীরা। খবর সারাবাংলা।
তবে তাসকিন আহমেদ ও হাসান মাহমুদ আইরিশদের লাগাম টেনে ধরেন তারপরেই। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে আইরিশ ওপেনার রস অ্যাডায়ার (১৩) ফেরান হাসান মাহমুদ। পরের ওভারে সফরকারীদের কোমড় ভেঙে দিয়েছেন তাসকিন। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে প্রথম আক্রমণে এসে সেই ওভারেই তিন উইকেট তুলে নেন তাসকিন। ষষ্ঠ ওভারে সাকিব আল হাসান আক্রমণ এসে মাত্র ৫ রান দিলে সেখানেই আইরিশদের পরাজয় অনেকটা নিশ্চিত হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত ৮ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ৮১ রানে থেমেছে আয়ারল্যান্ড। ১৪ বলে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ২১ রান করে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন গ্যারেথ ডেলানি। পরে আরও এক উইকেট পাওয়া তাসকিনের বোলিং ফিগার ২ ওভারে ১৬ রান দিয়ে চার উইকেট। অপর উইকেটটি হাসান মাহমুদের। এর আগে বৃষ্টি আর রনি তালুকদার ও লিটন দাসের ব্যাটিং ঝড় দেখেছে চট্টগ্রামের দর্শকরা। আগে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুতে রীতিমতো ঝড় তুলেছিলেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার।
পাওয়ার প্লেতে ৭৬ রান তোলেন দুজন, যা পাওয়ার প্লেতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড। ওপেনিং জুটিতে ৭ ওভারে ৯১ রান তোরেন দুজন। লিটন দাস ২৩ বলে ৪টি চার ৩টি ছয়ে ৪৭ রান করে ফিরলে এই জুটি ভাঙে। তিনে নেমে নাজমুল হোসেন শান্ত অবশ্য মন জেতানো পারফর্ম করতে পারেননি। তবে শামীম হোসেন পাটোয়ারী ও সাকিব আল হাসান দারুণ গতিতেই রান তুলেছেন। টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের দলীয় সর্বোচ্চ রান ২১৫। মনে হচ্ছিল আজ রেকর্ডটা পেরিয়ে যাবে সাকিব আল হাসানের দল। কিন্তু বৃষ্টি সেই সম্ভবনার মুখে জল ঢেলে দিয়েছে। ১৯.২ ওভারে বাংলাদেশের রান যখন ২০৭ তখনই বৃষ্টির হানা। পরে আর ব্যাটিং করার সুযোগ পায়নি বাংলাদেশ। ম্যাচ সেরার পুরস্কার পাওয়া রনি তালুকদার ৩৮ বল খেলে ৭টি চার ৩টি ছয়ে ৬৭ রান করেন। শামীম পাটোয়ারী ২০ বলে ২টি চার ১টি ছয়ে ৩০ রান করেন। এছাড়া সাকিব আল হাসান ১৩ বলে ৩টি চারের সাহায্যে ২০ রান করে অপরাজিত ছিলেন।