নিজস্ব প্রতিবেদক :
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ও বিস্তার দিন দিন বাড়তে থাকায় সাধারণ মানুষের মাঝে আতঙ্ক ছড়িছে পড়েছে। আতঙ্কিত মানুষ আগেভাগেই সংগ্রহ করছে অক্রিজেন সিলিন্ডার। এই সুযোগে অসাধু ব্যবসায়ীরা অক্সিজেন সিলিন্ডরসহ চিকিৎসা সামগ্রীর কৃত্রিম সংকট তৈরি করছে বাজারগুলোতে। বেশি লাভের আশায় সাধারণ মানুষকে মৃত্যুও দিকে ঠেলে দিচ্ছে এক শ্রেণীর ব্যবসায়ীরা। করোনা পরিস্থিতিকে পুঁজি করে পকেট ভারীতে ব্যস্ত ব্যবসায়ীদের লাগাম টানতে জেলা প্রশাসনের অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৯ জুন) বেলা ১২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত নগরীর আসকারদীঘির পাড় ও চকবাজার এলাকায় পুলিশ নিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করেছেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. উমর ফারুক। অভিযানে চকবাজারস্থ কাতালগঞ্জের বিসমিল্লাহ এন্টারপ্রাইজ নামেক একটি দোকানকে ৪ লক্ষ টাকা, অন্য একটি দোকানকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো: উমর ফারুক সুপ্রভাতকে বলেন, করোনা সংকটের মধ্যে অক্সিজেন সিলিন্ডারের কৃত্রিম সংকট তৈরি করছে কিছু ব্যবসায়ী। কয়েকগুণ দাম বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে আসকারদীঘির পাড় ও চকবাজারে অভিযানে কাতালগঞ্জ এলাকার বিসমিল্লাহ এন্টারপ্রাইজ নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে ৪ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়।
তিনি আরো বলেন, ওই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক শহীদুল আলম কোন ধরনের ইনভয়েস ও প্রয়োজনীয় ব্যবসায়িক কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। নিজেদের মতো করে দাম বৃদ্ধি করে বিক্রি করে আসছে অক্সিজেন সিলিন্ডার ও মিটারসহ অন্যান্য চিকিৎসা সামগ্রী। এমনকি তিনি বিস্ফোরক অধিদপ্তরের লাইসেন্সসহ অন্যান্য কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। আসকারদীঘিরপাড়ের হাসান ট্রেডার্সকে বিস্ফোরক অধিদপ্তরের লাইসেন্স দেখাতে না পারায় ও আইসিইউ বেড ও পেসেন্ট বেডের ক্রয় রশিদ দেখাতে না পারায় ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
জেলা প্রশাসনের অভিযান দেখে অক্সিজেন সিলিন্ডার বিক্রি করে এমন কয়েকটি দোকান বন্ধ পাওয়া যায় বলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জানিয়েছেন।